‘ওয়ারশ ক্ল্যাশ’! জার্মানি বনাম ইতালি সেমিফাইনালকে এ ভাবেই দেখছে ফুটবলবিশ্ব।
এক দিকে সত্তর বছরের খরা কাটাতে মরিয়া জার্মান কোচ জোয়াকিম লো। চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে, কোনও বড় টুর্নামেন্টে সত্তর বছর জার্মানি হারাতে পারেনি ইতালিকে। বিশ্বকাপ এবং ইউরো মিলিয়ে তিন বার ড্র, তিন বার হার। এর সঙ্গে যোগ করতে হবে ১৯৬২ বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচ। সেখানেও ম্যাচ ড্র হয়েছিল। অন্য দিকে এই তথ্য মনে করিয়ে দিয়ে জার্মান শিবিরকে সতর্ক করছেন ইতালির নিউক্লিয়াস আন্দ্রে পির্লো। যিনি বলছেন, “আমাদের বিরুদ্ধে নিজেদের রেকর্ডটা ওরা মনে রাখলে ভাল করবে।”
নজরকাড়া ফুটবলের জন্য গোটা দুনিয়া যাঁকে কোচ হিসেবে কুর্নিশ করছে, সেই যোগী লো অবশ্য অতীত রেকর্ড মনে রাখছেন না। আজুরির বিরুদ্ধে জার্মানদের রেকর্ড নিয়ে আদৌ চিন্তিত নন লো। “সময়কে তো আর ফিরিয়ে আনা যায় না। অতীত কখনও আমাদের খেলায় প্রভাব ফেলবে না। আগে কী হয়েছিল সেটা কোনও ব্যাপারই না। এখনকার পরিস্থিতি একদম আলাদা। এখনই ইতালির বিরুদ্ধে জেতার সেরা সময়।” |
ইতালীয় কোচ সিজার প্রান্দেলি আবার ইতিহাস নিয়ে আত্মতুষ্টি সরিয়ে রেখে সাফ বলে দিয়েছেন, অপরাজেয় দল বলে কিছু হয় না। বিপক্ষকে সমীহ করে তিনি আরও যোগ করেছেন, “জার্মানি জানে ওদের কী করতে হবে। শারীরিক ভাবেও ওরা প্রচণ্ড শক্তিশালী। ক্লাব স্তরে আন্তর্জাতিক সাফল্যের স্বাদ পেয়েছে ওরা। তাই এগিয়ে যাওয়ার সব মশলাই ওদের টিমে আছে।” তবে জার্মানদের জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকছে আজুরি কোচের। প্রকাশ্যে তিনি শুধু বলছেন, “জার্মানদের খেলাটা খতিয়ে দেখব। ওদের অল্প যা কিছু দুর্বলতা আছে, সেগুলো কাজে লাগাতে হবে।” ২০০৬ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল ভোলেন না জার্মান সমর্থকেরা। ডর্টমুন্ডে সেই ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে পির্লোর অসাধারণ পাস থেকেই ফাবিও গ্রসোর গোল ইতালিকে ২-০ জিতিয়ে দিয়েছিল। এখানেও লো মনে রাখছেন না সেই ম্যাচ। বলছেন, “ইতালি কী করবে না করবে তাতে আমি আগ্রহী নই।” সাফ জানাচ্ছেন, ২০১০ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে স্পেনের কাছে হারার পর টানা পনেরোটা ম্যাচ জিতেছে জার্মানি। সংখ্যাটা কাল ষোলো করতে চান লো। |