শুকনো খালের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল বস্তা-ভর্তি এ কে ৪৭ রাইফেলের গুলি। সংখ্যায় ১০০৮টি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক সিপিএম কর্মীকে ‘জিজ্ঞাসাবাদ করে’ পুলিশের হাতে তুলে দেয় তৃণমূলের লোকজন। নূর মহম্মদ নামে ওই ব্যক্তিকে জেরা করেই বুধবার সকালে গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের আরান্ডি ২ পঞ্চায়েতের রায়পুর গ্রামে। আরামবাগের এসডিপিও শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, “গুলি কারা কী উদ্দেশে মজুত করেছিল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।” গুলি সক্রিয় আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |
উদ্ধার হওয়া ১০০৮টি এ কে ৪৭ রাইফেলের গুলি। ছবি: মোহন দাস। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সিপিএম কর্মী নূর মহম্মদের আদি বাড়ি গোঘাটের মান্দারনে। তিনি থাকতেন মামার বাড়ি আরামবাগের হরিণখোলা ২ পঞ্চায়েতের কাঁটাবনি গ্রামে। তবে বিধানসভা ভোটের পর থেকে ঘরছাড়া ছিলেন। কয়েক মাস হল ফের যাতায়াত শুরু করেছিলেন মামার বাড়িতে। গ্রামে থাকতে গেলে তাঁকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে তৃণমূলের লোকজন ‘চাপ’ সৃষ্টি করেছিল বলে তাঁর পরিবারের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, মঙ্গলবার রাতে কাঁটাবনির বাড়িতে ছিলেন নূর। সেখানে হঠাৎই হাজির হয় তৃণমূলের কিছু লোকজন। মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায় ওই সিপিএম নেতাকে। রাতেই তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বুধবার সকালে নূরকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ যায় কাঁটাবনি থেকে কিছুটা দূরে রায়পুর গ্রামে একটি শুকনো খালের কাছে। সেখানেই মাটি খুঁড়ে তলা থেকে পাওয়া যায় গুলি-ভর্তি প্লাস্টিকের বস্তা।
আরামবাগের সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক বিনয় দত্তের দাবি, গুলি উদ্ধারের সঙ্গে নূরের কোনও যোগাযোগ নেই। তাঁকে ‘ষড়যন্ত্র করে’ ফাঁসানো হয়েছে। অন্য দিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ সোহরাব হোসেনের বক্তব্য, “গুলি মজুত করার কথা জানতেন ওই সিপিএম নেতা। মঙ্গলবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বুধবার পুলিশই সে সব উদ্ধার করে।” |