দ্রুত বিচার শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু সেখান থেকে নথি আসেনি। তাই সেই বিচারের কাজই শুরু করতে পারছে না আলিপুর আদালত।
খাদিম-কর্তা অপহরণ মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ের বিচার ১০ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০০১ সালের ২৫ জুলাই তিলজলার সি এন রায় রোডে খাদিম-কর্তা পার্থ রায়বর্মন অপহৃত হন। সেই মামলায় প্রথম পর্যায়ের বিচারে আফতাব আনসারি, আকিব আলি, হ্যাপি সিংহ-সহ পাঁচ অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ২০০৯ সালের ২০ মে।
পুলিশি সূত্রের খবর, দ্বিতীয় পর্যায়ে শেখ মুজাম্মেল, আরশাদ খান, তারিখ মেহমুদ ও ইশাক আহমেদ নামে চার অভিযুক্তের বিচার হওয়ার কথা। বুধবার তাদের জেল থেকে আলিপুরের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কাজি সফিউর রহমানের আদালতে হাজির করানো হয়। কিন্তু নথির অভাবে বিচার শুরু করা যায়নি।
খাদিম মামলার চার্জশিটে এই চার জনকে ‘ফেরার’ দেখানো হয়েছিল। তবে পুলিশ জানায়, এরা বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে ভিন্ রাজ্যের জেলে ছিল। সেখানে বিচার শেষে পুলিশ তাদের এ রাজ্যে নিয়ে এসেছে। বিচারক এ দিন সরকারি আইনজীবীর কাছে জানতে চান, “মামলার বিচার যে হবে, তার মূল নথি কোথায়?” সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ বলেন, “দণ্ডিত আফতাব আনসারি-সহ পাঁচ জন হাইকোর্টে আপিল করায় মামলার নথি সেখানেই রয়েছে। হাইকোর্ট ১৮ জুন ওই নথি নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিলেও কেন তা পৌঁছয়নি, বুঝতে পারছি না।” তিনি জানান, হাইকোর্ট এই মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ে টানা বিচার চালিয়ে ১০ মাসে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। নববাবু আদালতে জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ের বিচারে অন্য তিন অভিযুক্ত সাদাকাত, জালাল মোল্লা ও শাহবাজকে আনার ব্যবস্থা হয়েছে। |