|
|
|
|
জুলাইয়ে তেলের দাম কমতে পারে লিটারে ৪ টাকা পর্যন্ত |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
আগামী ১ জুলাই থেকেই লিটারে ৪ টাকা পর্যন্ত কমে যেতে পারে পেট্রোলের দাম। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম দ্রুত নেমে প্রতি ব্যারেলে প্রায় ৯৭ ডলার ছুঁয়ে ফেলার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার এক সূত্র। গত ২০১০-এর ডিসেম্বরের পর তা ন্যূনতম।
বস্তুত, গত মাসেই ডলার পিছু টাকার দাম কমার দোহাই দিয়ে এক ধাক্কায় পেট্রোল লিটারে ৭.৫৪ টাকা বাড়িয়েছিল তিন রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা। পরে অবশ্য তা ফের ২.০২ টাকা কমানো হয়। এ বার নিয়ম মাফিক সেই দাম খতিয়ে দেখতে চলতি মাসের শেষে আবার বৈঠকে বসবে সংস্থাগুলি। তার মধ্যেই একটি সংস্থার এক শীর্ষ কর্তা বুধবার বলেন, “পেট্রোলের দাম কমানোর সুযোগ ও সম্ভাবনা থাকছে আগামী পর্যালোচনায়। তবে জোর দিয়ে কিছুই বলতে পারব না। কারণ ডলারে টাকার দামে ওঠা-নামার উপরই সব কিছু নির্ভর করবে। যেহেতু সেটাই স্থির করবে আমদানির খরচ। কাজেই এখন সে দিকেই নজর রাখা হচ্ছে।” তবে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম যে হারে কমে চলেছে, তাতে টাকার দামের পতন আটকানো গেলে লিটারে ৪ টাকা পর্যন্ত পেট্রোলের দাম কমার সম্ভাবনা আছে বলে তাঁর ধারণা।
প্রসঙ্গত, পেট্রোলের দাম সরকারি নিয়ন্ত্রণ মুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতি মাসের ১ ও ১৬ তারিখে ওই দাম পর্যালোচনা করতে একত্রিত হন তিন রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার কর্তারা। সেখানে আলোচনা করা হয় তেল আমদানির গড় খরচ ও ডলার-টাকা বিনিময় মূল্যের গতিপ্রকৃতির মতো বিষয় নিয়ে। তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দাম বাড়ানো-কমানো বা অপরিবর্তিত রাখার ব্যাপারে।
এ ক্ষেত্রে ওই কর্তা জানিয়েছেন, গত মাসে যখন পেট্রোলের দাম শেষ বার সংশোধিত হয়েছিল তখন আন্তর্জাতিক বাজারে তার দর ছিল ব্যারেল পিছু ১১৫.৭৭ ডলার। কিন্তু তার পর থেকে তা নেমে গিয়ে থিতু হয়েছে ব্যারেলে প্রায় ৯৭ ডলারে। আর সেটাই তৈরি করছে দাম কমানোর সম্ভাবনা। তবে অস্বস্তি বজায় রেখে ডলার পিছু টাকার পতনের গতি বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যেই এক ডলারের দাম ছুঁয়ে ফেলেছে প্রায় ৫৭ টাকা। ফলে তেল আমদানির খরচ আবার বাড়ছে। তাই তেলের দাম কমানো নিয়ে শেষ পর্যন্ত সংশয় যে কিছুটা রয়েই যাচ্ছে, সেটাও জানিয়ে দেন তিনি। |
|
|
|
|
|