পাঁচিল টপকে বাড়িতে ঢুকে আম ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে সোনার গয়না ও নগদ লক্ষাধিক টাকা লুঠ করেছে একদল দুষ্কৃতী। শনিবার রাত ১২ টা নাগাদ ইংরোজবাজার থানার নিমাইসরাইয়ের পোড়ানদা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। দুষ্কৃতীদের হামলায় জখম আম ব্যবসায়ী দিলদার সবজিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল অবশ্য দাবি করেছেন, “আম ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি নয়, চুরির ঘটনা ঘটেছে। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ওই আম ব্যবসায়ী আড়ত থেকে বাড়ি ফিরে খাওয়া দাওয়া সেরে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রাত ১২ টা নাগাদ ৫-৬ জনের একটি ডাকাতদল পাঁচিল টপকে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢোকে। হাসপাতালে শুয়ে ওই ব্যবসায়ী বলেন, “দরজা ভাঙার সময়ে বোন লুসি খাতুন জেগে যায়। বোন চিৎকার করতেই আমি ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। ডাকাতরা আমার গলায় হাঁসুয়া ঠেকিয়ে বলে আলমারির চাবি না-দিলে খতম করে দেবে। চাবি দিতে একটু দেরি করায় একজন পিছন থেকে পিঠে হাঁসুয়ার কোপ দেয়। ভয়ে আলমারির চাবি দিয়ে দিই। এরপর ডাকাতরা আলমারি থেকে নগদ দেড় লক্ষ টাকা বের করে। স্ত্রীর গলা থেকে সোনার হার ও কান থেকে সোনার দুল জোর করে খুলে নিয়ে ১৫ মিনিটের মধ্যে পালিয়ে যায়।” চিৎকার শুনে গ্রামবাসী ছুটে গিয়ে জখম ব্যবসায়ীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ফোন পাওয়ার পরে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রামবাসীদের চাপেই পুলিশ রাতে দুজনকে গ্রেফতার করে। জখম আম ব্যবসায়ীর স্ত্রী বেবি সবজি বলেন, “যে ৫-৬ জন বাড়িতে ঢুকেছিল তাদের মধ্যে তিনজনকে স্বামী চিনতে পেরেছেন। খুন হওয়ার ভয়ে ডাকাতির সময় মুখ ফুটেও তাদের নাম বলেননি।” |