আমাদের চিঠি


স্টেশন থেকে দূরে টিকিট কাউন্টার
নলহাটি জংশনের ছবি।
বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে নলহাটি জংশন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। কলকাতা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরবঙ্গ ও মুর্শিদাবাদ জেলার সঙ্গে এর সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। পৌরশহর নলহাটি ব্যস্ততম বাণিজ্য শহরও বটে। অসংখ্য রেলযাত্রী ট্রেনযোগে এই স্টেশন দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন। শুধুমাত্র সাংসদ শতাব্দী রায়কে দিয়ে নতুন কম্পিউটার চালিত টিকিট কাউন্টার উদ্বোধন করানোর জন্য হঠাৎ করে পরিকল্পনাহীন ভাবে স্টেশন থেকে বহু দূরে স্টেশন লাগোয়া টিকিট কাউন্টারটি সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। টিকিট কাউন্টারটিতে যাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও পথ নেই। যানজট পেরিয়ে রেল লাইনের ওপর দিয়ে যেতে হয়। টিকিট সংগ্রহ করে ট্রেন ধরতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, রোগী, মালপত্র নিয়ে যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। এই অবস্থার জন্য এলাকার মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। অবিলম্বে স্টেশন চত্বরে টিকিট কাউন্টার খোলার ব্যবস্থা না করলে যে কোনও সময় বড় ধরনের আন্দোলন হতে পারে। বিষয়টির প্রতি রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রাচীন রথ
মানসিংহপুরের প্রাচীন রথ।
হাওড়া জেলার বর্ধিষ্ণু গ্রাম মানসিংহপুর জেলার একটি পরিচিত নাম। কথিত আছে, সম্রাট আকবরের প্রধান সেনাপতি মানসিংহ এই গ্রামে সৈন্য শিবির স্থাপন করেছিলেন। তাই গ্রামের নাম হয় মানসিংহপুর। বহু দিন আগে কিছু মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের চক্রবর্তী পরিবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে তিরিশ ফুট উঁচু একটি রথ তৈরি করেন। বুদ্ধপূর্ণিমা তিথিতে এই রথযাত্রা উৎসব হয়। হাওড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ আসেন। মহা সমারোহে সারা দিন চলে আরাধ্য দেবতা রাধাকান্ত জিউয়ের হোম, যাগযজ্ঞ, হরিনাম সংকীর্তন। স্থানীয় মানুষের দাবি, হাওড়া জেলার ঐতিহ্য এই বৈশাখী রথটিকে রক্ষা করুক সরকার। প্রাচীন এই রথটি যেন হারিয়ে না যায়।
প্রয়োজনীয় ট্রেন দিন
পুরুলিয়া থেকে ট্রেনে বনগাঁ, রাণাঘাট, নৈহাটি যেতে খুবই কষ্ট। ছয় থেকে সাত বার ট্রেন পরিবর্তন করতে হয়। বর্ধমান লোকাল না পাওয়া গেলে কষ্টের শেষ থাকে না। পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেসে রাণাঘাট যেতে হলে হাওড়া থেকে শিয়ালদহ হয়ে যেতে হয়। সময় তো নষ্ট হয়ই, খরচও বেশি হয়। পুরুলিয়া থেকে নৈহাটির দূরত্ব ২৬০ কিলোমিটার। পুরুলিয়া থেকে হাওড়া ৩২৩ কিলোমিটার। নৈহাটি হয়ে রাণাঘাট গেলে ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব কম যেতে হয়। পুরুলিয়াবাসীর সুবিধার্থে পুরুলিয়া থেকে শিয়ালদহ একটি ট্রেন দেওয়া হলে সুবিধে হয়। যা নৈহাটি থেকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে হাসনাবাদ, বনগাঁ যেতে পারে এবং অপর অংশ রাণাঘাট হয়ে গেদে পর্যন্ত যেতে পারে। আসানসোল শিয়ালদহ এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিপথ পুরুলিয়া পর্যন্ত বাড়িয়ে দিলেও কিছুটা সুরাহা হয়। এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া বেশি। দূরপাল্লার বাসেরও ভাড়া বেশি। লোকাল ট্রেন হলে সব দিক দিয়েই সুবিধে হয়।
চালু হোক বার্নিশ ঘাট
খোলাপোতা ডাকঘর থেকে চাঁপাপুকুর হাটখোলা পর্যন্ত একটি দীর্ঘ উপেক্ষিত রাস্তা রয়েছে। রাস্তাটিতে ইট, খোয়া বলে কিছু নেই। ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে ভরা। রাস্তার পাশে অবস্থিত একটি হাইস্কুল এবং কতগুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অথচ রাস্তাটির হাল এতই খারাপ যে পায়ে হেঁটে যাওয়া দুষ্কর। স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে পথচারী সকলেই অহরহ দুর্ঘটনার শিকার হন। আসন্ন বর্ষায় রাস্তাটির অবস্থা ভেবে শিউরে উঠছি। খোলাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, বর্ষার নরক যাত্রা থেকে গ্রামবাসীকে বাঁচাতে রাস্তাটির সংস্কার করা হোক।
নিরাপত্তার অভাব
শিয়ালদহ-গেদে লাইনের মাজদিয়া স্টেশন নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা ও কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসও এই স্টেশনটির ওপর দিয়ে যায়। কিন্তু স্টেশনটি হকার ও ভেন্ডারদের অত্যাচারে জর্জরিত। এখানে যাত্রীদের কোনও নিরাপত্তা নেই। প্রতি দিনই চুরি-ছিনতাই হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটু নজর দিন।
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি,
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.