ফালাকাটাকে মহকুমার দাবিতে এ বার লাগাতার আন্দোলনে নামছে মহকুমা দাবি আদায় মঞ্চ। রবিবার ফালাকাটা গার্লস হাই স্কুলে সমস্ত এলাকার রাজনৈতিক দল-সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি ওই মঞ্চ সভা, মিছিল, ডেপুটেশন, অবস্থান-সহ ধাপে ধাপে মহকুমার দাবি জোরালো করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফালাকাটার বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনিল অধিকারী মহকুমার দাবি সমর্থন করে বলেন, “ফালাকাটা মহকুমা হোক তা আমরা সকলে মনেপ্রাণে চাইছি। মঞ্চের পক্ষে দাবি আদায়ের যে সমস্ত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তা সকলে সমর্থন করছেন। আমারও একই দাবি রয়েছে।” এদিন স্থানীয় সুভাষ পল্লি ইউনিটের পক্ষে মহকুমার দাবিতে মিছিল বের হয়। বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকাকালীনই তৃণমূল এবং কংগ্রেস ফালাকাটাকে মহকুমা হিসাবে ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করছে। কেননা, ফালাকাটার বাসিন্দাদের প্রতিনিয়ত প্রশাসনিক নানান কাজে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আলিপুরদুয়ার মহকুমা শহরে ছুটতে হচ্ছে। বাম আমলে আন্দোলন বা ডেপুটেশন দিয়ে কোনও ফল মেলেনি বলে তাঁদের অভিযোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হবার পর রাজ্যের কয়েকটি জেলার পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারকে পৃথক জেলা ঘোষণা করতে উদ্যোগী হয়েছেন। আলিপুরদুয়ার জেলা হলে নয়া মহকুমা হিসাবে ফালাকাটা উপযুক্ত স্থান বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। কংগ্রেস ও তৃণমূলের পাশাপাশি মহকুমার দাবিতে এক মঞ্চে এবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলনে নামার পক্ষে মত দিয়েছে সিপিএম ও আরএসপিও। রবিবার দুই দলের প্রতিনিধিরা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনে নামার পক্ষে মত দেন। কংগ্রেসের ফালাকাটা ব্লক সভাপতি স্বপন বসু বলেন, “দাবি আদায় মঞ্চে সমস্ত দল যুক্ত রয়েছে। ধাপে ধাপে এই আন্দোলন চালিয়ে যাব। প্রশাসনিক কর্তাদের মাধ্যমে রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে। আরএসপি দলের ফালাকাটা জোনাল কমিটির সম্পাদক জ্ঞানেন দাসের কথায়, “আলিপুরদুয়ার যাতায়াতে গ্রামের মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। প্রশাসনিক দফতরের জন্য ফালাকাটা ব্লকে জায়গার অভাব নেই। গ্রামের লোকজনের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ থেকে মিছিল ও সভা করা প্রয়োজন মঞ্চের থেকে।” ১৮৬৮ সালে ব্রিটিশ সরকার ফালাকাটাকে মহকুমার স্বীকৃতি দেয়। কয়েকটি প্রশাসনিক দফতর সে সময় তৈরি করা হয়। মাত্র দুই বছর পর তা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অতীতে যে ফালাকাটা মহকুমা ছিল সে বিষয়টি সরকারকে জানানো হবে বলে মঞ্চ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। |