হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে হোম থেকে বেরিয়ে এসে পুরুলিয়া আদালত চত্বরে রবিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখালেন আনন্দমঠ হোমের মেয়েরা। বিক্ষোভে ছিলেন ৪২ জন। খবর পেয়ে ডিএসপি (সদর) অংশুমান সাহা বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে চত্বর ঘিরে রাখেন। পুরুলিয়া সদরের মহকুমা শাসক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য তাঁদের সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করার আশ্বাস দেওয়ার পরে তাঁরা ফিরে যান। |
আদালত চত্বরে বিক্ষোভ। ছবি: সুজিত মাহাতো। |
বিচারাধীন নাবালিকা ও বিভিন্ন বয়সের অনাথ ও পরিবার-বিচ্ছিন্না মহিলাদের ঠিকানা এই আনন্দমঠ হোম। প্রশাসন তাঁদের এই হোমে পাঠায়। এ দিন বিক্ষোভকারীদের মধ্যে পূজা বাউরি, চম্পা মাহাতো পিয়ালি ঘোষরা অভিযোগ করেন, “হোমের ছাদ থেকে বৃষ্টির জল পড়া, খাবারের মান খারাপের মতো সমস্যা ছিলই। তার উপর আমাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। হোমের সুপার তাঁর ব্যক্তিগত কাজ আমাদের দিয়ে করান।” তাঁরা জানান, এ দিন এক মেয়েকে সুপার সন্দেহবশত চড় মারায় ক্ষোভ চরমে ওঠে। দল বেঁধে তাঁরা হোমের মূল দরজা ঠেলে বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখাতে আদালতে যান।” একটি মানবাধিকার সংগঠনের জেলা সভাপতি আবু সুফিয়ানের অভিযোগ, “কয়েকদিন আগে হোম পরিদর্শনে গিয়ে অব্যবস্থার নমুনা পেয়েছি। মেয়েদের দিয়ে ব্যাক্তিগত কাজ করানো হয়। প্রশাসনকে জানিয়েছি।” হোমের সুপার ডালিয়া আর্চাযের দাবি, “কাউকে ব্যাক্তিগত কাজে লাগাই না। খারাপ খাবার দেওয়ার অভিযোগও ঠিক নয়। বরং যে কোনও অজুহাতে ওই মেয়েরাই জিনিস ভাঙচুর করে।” |