কংগ্রেসও ‘শত্রু’, এ বার পরামর্শ জ্যোতিপ্রিয়র
সিপিএমের সঙ্গে যাবতীয় সংস্রব ত্যাগ করার কথা আগেই বলেছিলেন। এ বার জোটসঙ্গী কংগ্রেসকেও ‘শত্রু’ হিসাবে দেখতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উত্তর ২৪ পরগনায় একটি দলীয় সম্মেলনে গিয়ে খাদ্যমন্ত্রীর ‘হুঁশিয়ারি’, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় সিপিএমকে ‘জিরো’ করে দেওয়ার পাশাপাশি কংগ্রেসকেও জায়গা ছাড়া হবে না।
শাসক জোটে থাকলেও রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের টানাপোড়েন অব্যাহত। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সমর্থন চেয়ে ইউপিএ প্রার্থী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-বিমান বসুকে ফোন এবং শেষ পর্যন্ত সিপিএমের তাঁকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত তৃণমূল-কংগ্রেস সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আগামী পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখে সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসকেও এক বন্ধনীতে ফেলে তৃণমূল যে প্রচার চালাবে, খাদ্যমন্ত্রীর এ দিনের বক্তব্যে সেই ইঙ্গিতই স্পষ্ট।
বনগাঁ শহরে রবিবার তৃণমূলের রাজনৈতিক সম্মেলনে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “আমাদের ওয়ান পয়েন্ট শত্রু সিপিএম। তার সঙ্গে কংগ্রেসও আমাদের শত্রু! ওদের সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। দলটার কিছু নেই। কোনও লড়াই করে না। মাঝে-মধ্যে ঝান্ডা ঝুলিয়ে দেয়!” বনগাঁ টাউন হলে ওই সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি নির্মল ঘোষ, কার্যকরী সভাপতি রতন ঘোষ, সাংসদ গোবিন্দ নস্কর, বিধায়ক বিশ্বজিৎ ঘোষ, শহর তৃণমূল সভাপতি দিলীপ দাস, প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ প্রমুখ।
দিন কয়েক আগেই বসিরহাটে দলের সম্মেলনে সিপিএমের প্রতি আক্রমণ শানিয়ে জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেছিলেন, “সিপিএমের মুখ দেখে বাড়ি থেকে বার হবেন না। তা হলে হোঁচট খেয়ে গাড়ির তলায় পড়বেন!” একই জেলার বনগাঁয় এ দিন একই কথার পুনরাবৃ্ত্তি করে মন্ত্রী বলেন, “সিপিএমের মধ্যে প্রগতিশীল এবং ভাল লোক আছেন। তাঁরা নির্বাচনে আমাদের ভোট দিয়েছেন। কিন্তু যে সিপিএম খুন-সন্ত্রাস-ধর্ষণে মদত দেয়, তাদের মুখ দেখবেন না!” প্রসঙ্গত, শনিবার বনগাঁ পুরসভার দু’বছর পূর্তি উপলক্ষে টাউন হলে এক অনুষ্ঠানে জ্যোতিপ্রিয়বাবু হাজির থাকলেও মঞ্চে সিপিএমের কাউন্সিলররা থাকায় তিনি মঞ্চে উঠতে চাননি। সেই প্রসঙ্গ তোলা হলে খাদ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “আমি ওদের মুখ দেখতে চাই না! তাই মঞ্চে উঠিনি।”
তবে সিপিএমের বিরুদ্ধে ‘উগ্র সুর’ বজায় রাখলেও দলের মধ্যে যাঁরা জনপ্রতিনিধি, তাঁদের ‘উদ্ধত আচরণ’ না-করার পরামর্শ দেন খাদ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি জানান, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে সিপিএম থেকে অনেকে দলে যোগ দিচ্ছে। দল বড় হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা ’৯৮ সাল থেকে তৃণমূলের পতাকা বহন করছেন, তাঁদের সামনে রেখে ‘সম্মান দিয়ে’ দল এগিয়ে যাবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.