পশ্চিমে উদ্যোগী জেলা প্রশাসন
তফসিলিদের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রাবাস
নেক স্কুলেই ছাত্রাবাস রয়েছে। তার বাইরেও উচ্চশিক্ষার জন্য তফসিলি ছাত্রছাত্রীরা যাতে শহরাঞ্চলে থাকার সুবিধা পান, সে জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রাবাস নির্মাণে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বিশেষত, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মতো ‘পিছিয়ে পড়া’ ও তফসিলি অধ্যুষিত এলাকায় আরও ছাত্রাবাস নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসনও।
জেলায় ৫টি কেন্দ্রীয় ছাত্রাবাস ছিল। সেখানে ৪০০ ছাত্রছাত্রীর থাকা সম্ভব। তার বাইরে আরও দু’টি ছাত্রাবাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে ২০০ জনের থাকার ব্যবস্থা থাকবে। তাতেও প্রয়োজন-পূরণ হবে না বলেই আশঙ্কা। তাই যাতে আরও দু’টি কেন্দ্রীয় ছাত্রাবাস তৈরি করা যায়, সে জন্য জেলা অনগ্রসর শ্রেণি-কল্যাণ দফতর থেকে ফের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। যে ছাত্রাবাসগুলি রয়েছে সেগুলির মানোন্নয়নেরও চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জেলা অনগ্রসর শ্রেণি-কল্যাণ আধিকারিক শান্তনু দাস বলেন, “যাতে জেলার বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীই উচ্চশিক্ষা লাভের সময়ে ছাত্রাবাসে থাকার সুযোগ পান, সেই লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় ছাত্রাবাস তৈরিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।”
এখন বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ভর্তি চলছে। গ্রাম থেকে বহু ছাত্রছাত্রী শহরের বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হচ্ছেন। কেউ আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু সবার পক্ষে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা সম্ভব নয়। আবার খরচ বেশি বলে বেসরকারি ছাত্রাবাসে থাকাও সম্ভব নয়। এই পরিপ্রেক্ষিতেই ছাত্রছাত্রীদের থাকার জন্য শহরাঞ্চলে বা কলেজ-ঘেঁষা এলাকায় সরকারি ভাবে কেন্দ্রীয় ছাত্রাবাস তৈরি হয়েছিল। বেশিরভাগ তফসিলি ছাত্রছাত্রীই পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপের টাকা পান। ছাত্রাবাসে থাকার জন্য কোনও খরচ লাগে না। শুধু খাবারের খরচ দিতে হয়। প্রশাসন জানিয়েছে, ছাত্রাবাসে থাকা ছাত্রছাত্রীদের জন্য আলাদা স্কলারশিপ দেওয়া হয়। সেই স্কলারশিপের অর্থেই তাঁরা খাবারের খরচ দিতে পারেম। ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ছাত্রাবাস বা অনগ্রসর শ্রেণি-কল্যাণ দফতর থেকেই আবেদনপত্র পাওয়া যায়। এত দিন মেদিনীপুর শহর, গোপীবল্লভপুর, দাসপুরের নাড়াজোল, বেলপাহাড়ি ও ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া—এই ৫ জায়গায় ৫টি কেন্দ্রীয় ছাত্রাবাস ছিল। মেদিনীপুর ও বেলপাহাড়ি—এই দু’টি কেবলমাত্র ছাত্রীদের জন্য। বাকি তিনটি ছাত্রদের জন্য। এ বার নারায়ণগড়ের গোপীনাথপুরে একটি তফসিলি ছাত্রী-আবাস ও শিলদা কলেজ লাগোয়া-এলাকায় একটি কেন্দ্রীয় ছাত্রাবাস তৈরি হচ্ছে। দু’টির জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার।
মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে আরও দু’টি ছাত্রাবাস তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মেদিনীপুর শহরে ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা ও ঝাড়গ্রামে ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে। দু’টির জন্য আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। দু’টি মিলিয়ে ২০০ জন ছাত্রছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা হবে। প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীরা যাতে সুযোগ-সুবিধার কথা জানতে পারেন, সে জন্য অনগ্রসর শ্রেণি-কল্যাণ দফতর প্রচার চালানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্মীয়মাণ আবাসনগুলিতে যাতে সামনের শিক্ষাবর্ষ থেকেই ছাত্রছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করা যায়, সেই চেষ্টাও চলছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.