|
|
|
|
ক্ষতিগ্রস্ত অস্থায়ী সেতু, খেয়া পারাপার ভসরাঘাটে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অনান্য বছর বর্ষা নামার কয়েকদিন পর এই পরিস্থিতি হয়। এ বার বর্ষার গোড়াতেই ক্ষতিগ্রস্ত হল ভসরাঘাটের ‘ফেয়ার ওয়েদার সেতু’। সুবর্ণরেখায় এখন জল বেড়েছে। সেই জলের তোড়ে সেতুর একাংশ ভেঙে গিয়েছে। শুরু হয়েছে খেয়া পারাপার। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জল কমলে সেতু মেরামতের কাজ শুরু হবে।
কেশিয়াড়ি ও নয়াগ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে সুবর্ণরেখা নদী। এখানে কোনও স্থায়ী সেতু নেই। রাজ্য সরকার অবশ্য ভসরাঘাটে স্থায়ী সেতুর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। পরিকল্পনা মতো কাজ শুরুও হয়েছে। প্রতি বছর বর্ষা পেরোনোর পরই সুবর্ণরেখার উপর কাঠের সেতু তৈরি করা হত। এতদিন জেলা পরিষদের উদ্যোগে সেতু তৈরি হয়েছে। এ বার অবশ্য নিজেদের উদ্যোগে সেতু তৈরি করতে রাজি হয়নি জেলা পরিষদ। পরিবর্তে সিদ্ধান্ত হয়, কোনও একটি সংস্থাকে সেতু তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হবে। ওই সংস্থাই টোল আদায় করবে। সেই মত দরপত্র আহ্বান করা হয়। শেষমেশ সেতু তৈরির দায়িত্ব পান নান্টু অধিকারী নামে নয়াগ্রামের এক ব্যক্তিই। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের জানুয়ারির গোড়ায় সেতু দিয়ে পারাপার শুরু হয়। সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ফলে স্থানীয়দের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। নয়াগ্রাম থেকে গোপীবল্লভপুর হয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করতে সময় বেশি লাগে। সঙ্গে ঝক্কি রয়েছে। তাই, ভসরাঘাটের উপর স্থায়ী সেতু তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর সেতু তৈরি করতে গিয়ে জেলা পরিষদকে ক্ষতির মুখ দেখতে হত। কারণ, খরচ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠলেও দরপত্র আহ্বান করে জেলা পরিষদর খুব বেশি হলে ১২ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা পেত। তাই, এ বারই প্রথম কোনও বেসরকারি সংস্থা এই সেতু তৈরি করে টোল আদায়ের কাজ শুরু করে। তবে কোন গাড়ির জন্য কত টোল নেওয়া হবে, তা ঠিক করে দেয় জেলা পরিষদ। |
|
জলের তলায় সুবর্ণরেখার ফেয়ার ওয়েদার সেতুর। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সুবর্ণরেখার নদীর জল বেড়েছে। পরিস্থিতি দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ অবশ্য মনে করছেন, শুধু বৃষ্টির জল নয়, চান্ডিল জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলেই এই পরিস্থিতি। জেলা প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, চান্ডিল থেকে জল ছাড়া হয়েছে বলে কোনও খবর তাদের কাছে নেই। শনিবার দুপুরে হঠাৎই জলের তোড়ে সেতুর একাংশ ভেঙে যায়। একাংশ আবার জলের তলায় চলে যায়। ফলে সেতুর উপর পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “বৃষ্টির ফলেই নদীতে জল বেড়েছে।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “জলের তোড়ে ভসরাঘাটের সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জল কমলে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা মেরামতের কাজ শুরু করবে।” যে সংস্থা সেতু তৈরি ও টোল আদায়ের দায়িত্ব পেয়েছে, তার কর্তা নান্টু অধিকারী বলেন, “শনিবার দুপুরে হঠাৎই জলের তোড়ে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারপর থেকে খেয়া পারাপার শুরু হয়েছে।” রবিবার পূর্ত দফতরের এক প্রতিনিধি দল ভসরাঘাটে আসে। নতুন সেতু তৈরির প্রাথমিক কাজ খতিয়ে দেখে। এ ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে কি না, তা নিয়ে আলোচনা করেন দলের সদস্যরা। |
|
|
|
|
|