নীতীশ কুমারের বিরোধিতায় ফের সরব সঙ্ঘ। প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীকে প্রার্থী করার বিরোধিতা করে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন নীতীশ কুমার। আজ নাম না করে নীতীশের সেই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে আরএসএসের মুখপত্র ‘পাঞ্চজন্য’তে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, ধর্মনিরপেক্ষ ও উদার কোনও ব্যক্তিকেই প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী করা উচিত এনডিএ-র। নাম না করলেও নীতীশের আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি তখন চুপ থাকলেও মুখ খুলেছিলেন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেছিলেন, “মোদীকে প্রার্থী করা হবে কি না, সেটা দল পরে ঠিক করবে। কিন্তু এ বিষয়ে নীতীশ কুমারের অযাচিত পরামর্শ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।”
আর এক ধাপ এগিয়ে আজ দলীয় মুখপত্রে নীতীশের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া উচিত, এই কথা বলার অর্থ কী? প্রধানমন্ত্রীর ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয় থাকা জরুরি কি না, তা নিয়ে আমাদের সংবিধানেও কিছু লেখা নেই। কারণ সংবিধান রচয়িতারা মনে করতেন, যিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি স্বাভাবিক ভাবেই ধর্মনিরপেক্ষ হবেন ও বৈষম্য না করেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে রক্ষা করবেন।”
মুখপত্রে নীতীশের ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতিরও সমালোচনা করা হয়েছে। এনডিএ-র শরিক হয়েও নীতীশ যে ভাবে বিহারে সংখ্যালঘু সমাজের স্বার্থরক্ষায় সক্রিয়, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিজেপির অভ্যন্তরে।
এই পরিস্থিতিতে আজ মুখপত্রে বলা হয়েছে, নীতীশের বক্তব্যের প্রকৃত উদ্দেশ্য আসলে সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি। প্রসঙ্গত, মোদীর সমর্থনে মোহন ভাগবত মুখ খোলায় কিছুটা বেকায়দায় পড়েছিল বিজেপি শিবির। দল চাইছে, দুর্নীতি-মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়গুলিকে সামনে রেখে কংগ্রেস বিরোধিতার সুর চড়াতে। তাই এখন সঙ্ঘ হিন্দুত্বের প্রশ্নে সরব হলে ধর্মনিরপেক্ষ ভোট কংগ্রেসের পক্ষে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বিজেপির। এ নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে সঙ্ঘকে বার্তাও দেওয়া হয়। রাজনৈতিক সূত্র বলছে, ধর্মনিরপেক্ষ প্রধানমন্ত্রীর সংজ্ঞার মাধ্যমে আজ কার্যত নিজেদের অবস্থানই স্পষ্ট করেছে সঙ্ঘ। |