দলের ‘অভিভাবক’ পূর্ণ সাংমা দল ছাড়লেও আপাতত তাঁর দুই পুত্র-সহ মেঘালয় বিধানসভার বাকি ১৩ জন সদস্য এনসিপি বা বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করছেন না। কাল অনেক রাত অবধি দলীয় বৈঠক চলে। বৈঠকের পরে পূর্ণ সাংমার ছেলে তথা বিরোধী দলনেতা কনরাড সাংমা জানান, যদিও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পূর্ণ সাংমাকে সমর্থন না করার সিদ্ধান্ত দুঃখজনক তবু মেঘালয়ে দলের বিধায়করা পদত্যাগ করছেন না। তাঁরা দলে থেকেই পূর্ণর পক্ষে ভোট দেবেন। পূর্ণ সাংমার পদত্যাগের পরে কাল অবধি মেঘালয়ের এনসিপি নেতারা গণ-ইস্তফার কথা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছিলেন। তবে। দীর্ঘ বৈঠকের পরেই সুর বদল হয়।
পূর্ণ সাংমার এক ছেলে জেমস বিধায়ক তথা দলের মুখপাত্র। অন্য ছেলে কনরাড বিরোধী দলনেতা। দু’জনই, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বাবার সঙ্গে দিল্লিতে ছিলেন। পূর্ণ, শরদ পাওয়ার ও দলের নেতা, বিধায়ক, সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পরে কনরাড জানান, মেঘালয় প্রদেশ এনসিপির কেউ পদত্যাগ করছেন না। এ-ও জানান, শরদ পওয়ার কথা দিয়েছেন, বাবাকে সমর্থন জানানো বা বাবার প্রচারের কাজে নিজের সরকারি ভবন ব্যবহার করতে দেওয়ায় মেয়ে আগাথার মন্ত্রিত্ব কোপে পড়বে না। রাজ্য কংগ্রেসে গৃহবিবাদের সম্ভাবনাও উস্কে দেন কনরাড। বলেন, “রাজ্য কংগ্রেসের কিছু বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, বাবাকেই ভোট দেবেন তাঁরা। বাবাও কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।”
এ দিকে, রাজ্যে শাসক জোটের শরিক ইউডিপিও পূর্ণ সাংমার ব্যাপারে কংগ্রেসের পক্ষে নেই। ইউডিপির নেতা তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী বিন্দো এম লানোং এবং ইউডিপির সভাপতি ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডনকুপার রয় দু’জনই প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের ভোট পূর্ণর দিকেই থাকছে। তবে, ডনকুপার জানান, এটি এখনও দলীয় সিদ্ধান্ত নয়। দলের বৈঠকের পরেই পূর্ণ সাংমাকে সমর্থনের বিষয়টি জানানো হবে। সে ক্ষেত্রে, অসম গণ পরিষদের পরে, আরও একটি আঞ্চলিক দলের সমর্থন পূর্ণ পাবেন। |