|
|
|
|
যানজটের যন্ত্রণায় নাকাল পাঁচলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাঁচলা |
যানজটে নাকাল হচ্ছে পাঁচলা। সমস্যার সমাধানে একটি বাইপাস রাস্তা তৈরির দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। যানজট সমস্যা মেটাতে চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন হাওড়া জেলা পরিষদের কর্তারা।
মুম্বই রোডের ধারে পাঁচলা মোড়ের কাছ থেকে এলাকার বুক চিরে চলে গিয়েছে পাঁচলা-মেজুটি রাস্তা। যানজট হয় মূলত পাঁচলা মোড় থেকে আজিম মোয়াজ্জেম হাইস্কুল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে। এই এলাকায় রাস্তার দুই দিকে রয়েছে প্রায় ৫০০ দোকান। অনেকে ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা করছেন। এখানেই আবার বসছে বাজার। সকালের দিকে বাজার বসে। তা চলে আসে রাস্তার অনেকটা উপরে। দোকান ও বাজারে থিক থিক করে ভিড়। সব মিলিয়ে রাস্তাটি সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। সংকীর্ণ এই রাস্তার উপর দিয়েই চলাচল করে অটো রিকশা, ট্রেকার, লরি ছোট গাড়ি, মোটর বাইক এবং সাইকেল। এইসবের মাধ্যমে পাঁচলা, চড়া পাঁচলা, মেজুটি, সিপাইপাড়া, খালপাড়, মধ্য পাঁচলা, উলুমাঠ, মেলো, লালপোল, জেলেপাড়া প্রভৃতি প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। যানজটের জেরে তাঁরা নাকাল হন। ছাত্র-ছাত্রীরা ঠিক সময়ে স্কুলে আসতে পারে না। রাস্তাটি জেলা পরিষদের। এই রাস্তার উপরে যানজট দূর করার জন্য জেলা পরিষদের কাছে দাবি জানিয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। পাঁচলা গ্রামোন্নয়ন সমিতি-র সম্পাদক নিমাই বেজ বলেন, “একটি বাইপাস রাস্তা তৈরি হলে তবেই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে।” একই কথা বলেন পাঁচলার প্রাক্তন বিধায়ক সন্তোষ দাস।
পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তারক ধাড়া বলেন, “যানজট সমস্যার সমাধান করার জন্য বছরখানেক আগে পাঁচলা থানায় বসে সিদ্ধান্ত হয়েছিল সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত এই রাস্তার উপর দিয়ে কোনও লরি যাতায়াত করতে পারবে না। বাজার বসলেও তা রাস্তার উপরে আসবে না। কিন্তু কোনও নিয়মই মানা হয়নি।” যানজটের সমস্যাটি তাঁরা যে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন সে কথা জানিয়ে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পাঁচলা বাজারের কাছে নিত্য যানজট কাটানোর উপায় কী তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।” বাড়িতে লুঠপাট। ঘরের পিছনের দরজার গ্রিলের তালা ও তার পরে দু’টি দরজা ভেঙে আলমারি থেকে গয়নাগাটি, টাকা লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাবরা থানার সপ্তপল্লি এলাকায়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। |
|
|
|
|
|