এমনিতেই সিগন্যাল-বিভ্রাটের জেরে শুক্রবার সকাল থেকে মেট্রো চলছিল খুঁড়িয়ে। এখানেই শেষ নয়। দুপুরে দমদম স্টেশনে একটি বাতানুকূল মেট্রো থেকে আচমকা আগুনের ফুলকি ও ধোঁয়া বার হওয়ায় প্রায় আধ ঘণ্টা দুর্ভোগ পোহালেন যাত্রীরা। সব মিলিয়ে এ দিন সকাল থেকে দুপুর, মেট্রো ভোগাল যাত্রীদের। পাশাপাশি, এই ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠেছে মেট্রোর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে।
মেট্রো সূত্রে খবর, এ দিন সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনে একটি সিগন্যাল খারাপ হয়ে গোলমালের শুরু। সে সময়ে ‘পেপার সিগন্যালের’ মাধ্যমে ট্রেন চালাতে গিয়ে প্রতিটি ট্রেনেরই গড়ে ৭-৮ মিনিট করে দেরি হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক এ ভাবে চলার পরে ওই সিগন্যালটি মেরামত করে সচল করেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
তার রেশ না মিটতেই দুপুর দেড়টা নাগাদ একটি বাতানুকূল মেট্রো দমদম স্টেশনে পৌঁছে বিপত্তি ঘটায়। মেট্রো সূত্রে খবর, যাত্রীদের নামিয়ে ওয়াই সাইডিংয়ে গিয়ে লাইন বদল করে ট্রেনটি যখন ডাউন লাইনে আসার জন্য ছেড়েছে, তখন প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগে ট্রেনটির একটি কামরার পিছন থেকে আগুনের ফুলকি ও ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। অপেক্ষমাণ যাত্রীরা তা দেখে চিৎকার করে ওঠেন। বেরিয়ে আসেন প্ল্যাটফর্মে থাকা মেট্রো কর্মীরাও। চালককে বিষয়টি জানানো হলে তিনিও কেবিন থেকে বেরিয়ে আসেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সরবারহ। অল্পক্ষণ পরেই অবশ্য আগুন নিভে যায়।
এর পরে ওই রেকটিকে নিয়ে যাওয়া হয় নোয়াপাড়া কারশেডে। এর জন্য সময় লাগে প্রায় আধ ঘণ্টা। ওই সময়ে ঘোষণা করা হয়, ‘ডাউন প্ল্যাটফর্মের বদলে আপাতত ট্রেন ছাড়বে আপ প্ল্যাটফর্ম থেকে।’ ফলে যাত্রীদের আবার ডাউন থেকে আপ প্ল্যাটফর্মে গিয়ে ট্রেন ধরতে হয়। মেট্রোর জনসংযোগ অধিকর্তা প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “ওই সময়ে চারটি ট্রেন আপ প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়তে হয়।”
এ দিনের ঘটনা ফের মেট্রোর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এখন নোয়াপাড়া শুধু কারশেড নয়। তা পুরোদস্তুর ওয়ার্কশপ। মাত্র পাঁচ দিন আগেই ওই ওয়ার্কশপের উদ্বোধন করে গিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। তার পরেও সেই ওয়াকর্শপে ট্রেন মেরামতির পরে কী ভাবে একটি কামরা থেকে আগুনের ফুলকি বার হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। |