রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম শুক্রবার বিধানসভায় জানিয়ে দিলেন, পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নীতি নয়।
নোনাডাঙায় কেএমডিএ-র জমি থেকে জবরদখলকারী বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে মার্চ মাসে। যদিও ওই বস্তিবাসীরা ফের সেই এলাকাতেই ঝুপড়ি গড়ে থাকছেন এবং পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। এ দিন বিধানসভায় সিপিএমের খগেন মুর্মু নোনাডাঙার উচ্ছেদের প্রসঙ্গ তোলেন। মন্ত্রী ফিরহাদ জবাবি ভাষণে বলেন, “অনেকে ভুল করছেন। পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা আমাদের সরকারের নীতি নয়। কোথাও উচ্ছেদ হয়ওনি। বরং, আমরা শহুরে গরিব মানুষের জন্য আবাসন গড়ব।” নোনাডাঙা-নিয়ে মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, “ওখানে কারও জমি নেয়নি সরকার। কেএমডিএ-র জমিই কোনও কোনও দল দখল করেছে। সেখানে ঝুপড়ি বিক্রি করছে তারা। গরিবদের আবাসন হবে ওখানে। বিষয়টিকে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদের সঙ্গে কেউ গুলিয়ে ফেললে আমি দুঃখিত।”
নোনাডাঙা-সহ রাজ্যের বেশি কিছু জায়গায় আন্দোলনের পিছনে ‘মাওবাদীদের চক্রান্ত’ রয়েছে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ। এ দিনই কলেজ স্ট্রিটে তৃণমূলের এক সমাবেশে নোনাডাঙা-আন্দোলনের সমালোচনা করেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষ প্রমুখ। পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, “সুবিধাবাদী কিছু মানুষ নোনাডাঙার মানুষকে উস্কে অগণতান্ত্রিক আন্দোলন করছেন। সরকার নোনাডাঙার মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল।” অর্পিতা বলেন, “নোনাডাঙায় পরিকল্পিত ভাবে ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা চলছে।” তাঁরা ওই ‘অপচেষ্টা’ বন্ধ করার জন্য আর্জি জানান। পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, সিপিএম ও তাদের অনুগামীরা সরকারের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচার’ ও ‘কুৎসা’ করছে। |