|
|
|
|
যানজট সমস্যা মেটানোর আশ্বাস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
পানাগড়ের যানজট সমস্যা মেটাতে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের ডিজি (ট্রাফিক) গৌতমমোহন চক্রবর্তী। শুক্রবার আসানসোল যাওয়ার পথে কাঁকসার বিরুডিহায় সদ্য গড়ে ওঠা ট্রাফিক গার্ডে নেমে তিনি বলেন, “জাতীয় সড়কের ওই অংশে যানজট রুখতে সিগন্যাল চালু, পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ বহাল, রাস্তার দুপাশ চওড়া করা ইত্যাদি উদ্যোগ করা হচ্ছে।”
স্বর্ণ চতুষ্টয় সড়ক প্রকল্পের আওতায় পূর্বে পানাগড় থেকে ডানকুনি এবং পশ্চিমে পানাগড় থেকে বরাকর পর্যন্ত চার লেনের জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে নির্দিষ্ট সময়েই। কিন্তু ব্যতিক্রম, পানাগড়ের ওই কিমি চারেক অংশ। একদিকে চার লেন করতে গেলে ভাঙা পড়বে দোকান, বাজার, বাড়ি। আবার বাইপাস নির্মাণ হলে মার খাবে পানাগড়ের বিশাল বাজার - এই দোটানাতেই থমকে ছিল ওই অংশের কাজ। পরে বাইপাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সেই কাজ এখনও বিভিন্ন কারণে শুরুই হয়নি। ফলে ঝাঁ চকচকে চার লেন ধরে আসা গাড়ি হঠাৎ এসে গতি হারিয়ে ফেলে জাতীয় সড়কের ওই অংশে। এছাড়াও পানাগড়-মোড়গ্রাম রাজ্য সড়ক দার্জিলিং মোড়ে এসে মিশেছে জাতীয় সড়কে। সব মিলিয়ে পানাগড়ের ওই অংশে গাড়ি চলাচল খবব বেশি হওয়ায় যানজট লেগেই থাকে। এছাড়া রাস্তার দুই দিকে পসরা সাজিয়ে বসা ব্যবসায়ী বা আচমকা রাস্তার ধারে গাড়ি পার্ক করে চলে যাওয়ার অভ্যাস এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থায় নেওয়া হয়নি। |
|
ট্রাফিক গার্ড অফিসে ডিজি (ট্রাফিক)। —নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশি হিসেব বলে, বছরে গড়ে ছোটবড় মিলিয়ে ৩০টিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটে এই এলাকায়। মৃত্যুও হয় বেশ কয়েকজনের। তবে গত কয়েক মাসে পুলিশি নজরদারি বাড়ায় কমেছে বেআইনি গাড়ি পার্কিংয়ের সংখ্যা। ব্যবসায়ীরাও রাস্তা ছেড়ে দূরে পসরা সাজিয়ে বসছেন। দিন কয়েক আগে পানাগড় বাজারের চৌমাথা বা ক্যানাল পাড়ের তেমাথায় চালু হয়েছে সিগন্যাল ব্যবস্থাও। ফলে সবমিলিয়ে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা যে আদৌ যথেষ্ট নয় তা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রেল পাড়ের বাসিন্দা অশোক গুড়িয়া, মটর রুইদাসরা বলেন, “সিগন্যাল যে দুই মোড়ে আছে তা ছাড়া অন্য সব জায়গাতেই জাতীয় সড়ক পারাপার এখনও বিভীষিকা। দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোনও সময়।”
তবে ইদানিং বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। জাতীয় সড়কের দুই পাশে বেশ কয়েক ফুট জায়গা ফাঁকা করা হয়েছে। দুই মোড়ে সিগন্যাল চালু করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ দার্জিলিং মোড়ে সিগন্যাল চালু করার কাজ চলছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনের কাজের সুবিধায় গড়ে তোলা হয়েছে ট্রাফিক গার্ড অফিসও। এ দিন ডিজির আশ্বাসের পরে আবারও যানজট থেকে রেহাই পাওয়ার আশায় দিন গুনতে শুরু করেছেন নিত্যদিন যানযটে জেরবার পানাগড়ের বাসিন্দারা এবং পানাগড়ের ভেতর জাতীয় সড়ক ধরে যাতায়াত করা অগুণতি যাত্রীরা। |
|
|
|
|
|