টুকরো খবর |
ধূমপানের দৃশ্য মোবাইলে তোলার চেষ্টা, ছাত্রকে মারধর পার্শ্বশিক্ষকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
স্কুলে ক্রিকেট খেলার ফাঁকে আড়ালে গিয়ে এক শিক্ষক সিগারেট খাচ্ছিলেন। সেই দৃশ্য দেখে ছবিটি মোবাইলে তোলার চেষ্টার অভিযোগে ছাত্রকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার তিওড় কৃষ্ণাষ্টমী হাই স্কুলে। স্কুল সূত্রের খবর, দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের নাম সুব্রত দাস। তাকে অসুস্থ অবস্থায় স্কুলের শিক্ষকেরা বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র এবং একাংশ শিক্ষক মহলে আলোড়ন পড়ে যায়। অভিযুক্ত ওই স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষক অসুস্থ ছাত্রের পাশেও দাঁড়াননি বলে শিক্ষক মহলে ক্ষোভ রয়েছে। প্রধান শিক্ষক উৎপল বসাক বলেন, “ঘটনার সময় ঘরে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। পরে বিষয়টি জানতে পারি। তদন্ত করা হবে।” রথযাত্রা উপলক্ষে দু-পিরিয়ডের পর স্কুল ছুটি হয়ে যায়। স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা কয়েক জন মিলে স্কুল চত্বরের সামনের মাঠে টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেট খেলছিল। তাদের সঙ্গে এক শিক্ষক সমর গুপ্ত ছিলেন। এক সময় ক্রিকেট বল স্কুলের ভেতরে চলে যায়। সুব্রত বলটি কুড়িয়ে আনতে যায়। কয়েক মুহূর্ত পরেই তাকে এক পার্শ্ব শিক্ষক মারধর করছেন বলে অভিযোগে হইচই পড়ে যায়। সুব্রতর সহপাঠীরা কয়েক জন অভিযোগ করেছে, ওই পার্শ্ব শিক্ষকের সিগারেট খাওয়ার ছবি মোবাইলে তোলার চেষ্টার অভিযোগে সুব্রতকে তিনি চড় মারতে থাকেন। সুব্রত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সহ শিক্ষক সমর গুপ্ত, সহদেব সাহা, সুব্রত দে ছাত্রটিকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করান। তাঁদের বক্তব্য, “মাথা গরম করে একটা ঘটনা ঘটে যেতেই পারে। তাই বলে ওই শিক্ষক অসুস্থ ছাত্রের পাশে দাঁড়াবেন না? এতে ছাত্রের কাছে খারাপ বার্তা পৌঁছয়।” ছেলের খবর পেয়ে ছাত্রের বাবা জয়ন্ত দাস স্কুলে যান। জয়ন্তবাবু বলেন, “ছেলে যদি ছবি তুলেও থাকে, ঠিক করেছে। স্কুলের ভেতর ওই শিক্ষকের কি সিগারেট খাওয়া উচিত?” হাসপাতালে শয্যায় শুয়ে পড়ুয়া সুব্রত জানায়, সে মোবাইলে ছবি তোলেনি। বল কুড়ানোর সময় মোবাইলটি অন্য পকেটে ঢুকিয়ে ছিল। তাতেই সন্দেহ করে ওই পার্শ্বশিক্ষক ছুটে এসে সজোরে কানের নিচে চড় মারেন বলে অভিযোগ।
|
শৃঙ্খলাভঙ্গে বেতন বন্ধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পঞ্চায়েতে দুই জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দিল প্রশাসন। পঞ্চায়েত আইন মেনে ওই দুই কর্মীকে সাময়িক বরখাস্তের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। মালদহের চাঁচল-২ ব্লকের গৌড়হন্ড পঞ্চায়েতে ঘটনাটি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ব্লক প্রশাসনের তরফে ওই দুই কর্মীর বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। দুই পঞ্চায়েত কর্মীর নাম লালুরাম দাস ও তিনকড়ি মণ্ডল। চাঁচল-২ বিডিও ভাস্কর মজুমদার বলেন, “দুই কর্মীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলায় তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।” অভিযুক্ত দুই কর্মীর দাবি, “শৃঙ্খলা মেনেই আমরা পঞ্চায়েতের কাজ করি। আর যা বলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের বলব।” পঞ্চায়েতের প্রধান গ্যারান্টি সোরেন বলেন, “ওই দুই কর্মীকে সতর্ক করা হলেও তারা সেই কথায় কান দেননি। প্রশাসন তদন্ত করে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।” সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েতের কয়েকজন কর্মীর কাজকর্ম নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ তুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হন বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, অধিকাংশ দিনই সময়মত পঞ্চায়েত দফতরের তালা খোলে না। অনেকদিন দুপুর গড়িয়ে গেলেও দফতর তালাবন্ধ থাকে। পঞ্চায়েতে এসে বাসিন্দাদের দীর্ঘক্ষণ বাইরে বসে কাটাতে হয়। দফতর খুললেও কর্মীদের পাওয়া যায় না। একবার নয়, একই অভিযোগ ওই এলাকা থেকে বারবার আসতে থাকায় ঘটনার তদন্তে নামেন বিডিও। প্রাথমিক তদন্তের পর প্রশাসনিক কর্তারা দেখেন, ওই দুই কর্মীর হাতে পঞ্চায়েত দফতরের চাবি থাকলেও সময়মত তাঁরা হাজির হন না। এছাড়া দুই কর্মী তাদের কাজকর্ম ঠিকভাবে করছেন না। এরপর দুই কর্মীকে প্রশাসনের তরফে শোকজ করা হয়। কিন্তু শোকজের সন্তোষজনক উত্তর না দেওয়ার পাশাপাশি দুই কর্মী নিজেদের শুধরে নেননি বলে অভিযোগ।
|
প্রতিবাদে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
কোচবিহার দক্ষিণ জোনাল সম্পাদক কামিনীকান্ত রায়কে ধরার প্রতিবাদে থানায় বিক্ষোভ দেখাল সিপিএম। বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের কর্মী-সমর্থকরা কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় গিয়ে ওই বিক্ষোভ হয়। নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মহানন্দ সাহা, অরুণ করঞ্জাই, বঙ্কিম পাল প্রমুখ। মহানন্দবাবুর অভিযোগ, “পুলিশের একাংশ ষড়যন্ত্র করে কামিনীকান্তবাবুকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়েছেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়।” পুলিশ জানায়, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে বুধবার কামিনীকান্ত রায় জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে প্রতারণার লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য বুধবারই তাঁকে অবশ্য কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে ওই ব্যক্তিকে আদালতে তোলা হবে।”
|
গোলমাল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ফের কালিয়াচক থানার মোজামপুর উত্তাল হয়ে ওঠেছে। বুধবার রাতে বাইকে বাড়ি ফেরার সময় পিছন থেকে গুলি চালালে ফেকু শেখ নামে এক যুবকের পিঠে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ ওই যুবককে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা ওই যুবকের দেহ থেকে গুলি বের করতে না পারায় তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হয়। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “দু-দল সমাজবিরোধীদের গণ্ডগোলের জেরে ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আততায়ীদের পরিচয় জানা গিয়েছে। তাদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।”
|
ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
এক ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের দাবিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী সমর্থক মালদহ কলেজে আন্দোলনে নামায় বৃহস্পতিবার কলেজে অচলাবস্থা দেখা দেয়। তিন ঘণ্টার জন্য প্রথম বর্ষের ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে ফের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। বুধবার থেকে মালদহ কলেজে প্রথম বর্ষের অনার্সের ভর্তি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতি বার দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হয় সংস্কৃত অনার্সের ভর্তি। ৪০ জন ভর্তি হওয়ার পর টিএমসিপি দাবি করে, বিধি ভেঙে ক্রমিক সংখ্যা অমান্য করে এক ছাত্রীকে ভর্তি করানো হয়েছে।
|
অধরা খুনে অভিযুক্ত দুই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
স্কুল কর্মীকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনে অভিযুক্ত পলাতক সুদের কারবারি কৃষ্ণ বর্মন ও তার ছেলে কমল বর্মনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন চাঁচলাপাড়ার বাসিন্দারা। ৫ হাজার টাকা সময় মত শোধ না করায় দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার চাচলাপাড়ায় ঋণগ্রহীতা স্কুল কর্মী রমেশ বর্মনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত কৃষ্ণ বর্মনের দুই ছেলে বিমল ও কমল বর্মনের নামে জনরোষের চাপে বিমল বর্মন পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তদের ধরা হবে।”
|
বঞ্চনার নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিবাড়ি |
সরকারি নির্দেশে শিক্ষক প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হলেন। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী সমিতি মহকুমাশাসককে সমস্যা সমাধানের আর্জি জানায়। সংগঠনের জলপাইগুড়ি সদর মহকুমা কমিটির সম্পাদক সুব্রত রায় বলেন, “প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মুক্ত এবং দূরশিক্ষার মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি থেকে বঞ্চিত করা চলবে না।”
|
জনজোয়ার কোচবিহারে |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
কোচবিহারে রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন দেবের রথযাত্রা ঘিরে জনজোয়ারে ভাসল কোচবিহার। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় কোচবিহারের মূল মন্দির থেকে মদনমোহন বিগ্রহ রথে সওয়ার করে শহর পরিক্রমা শুরু হয়। শহরের সুনীতি রোড, বিশ্বসিংহ রোড, কেশব রোডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রথ গুঞ্জবাড়ি ডাঙ্গোরাই মন্দিরে পৌঁছয়। প্রশাসন ও দেবত্তর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২৭ জুন পর্য্যন্ত মদনমোহন বিগ্রহ ওই মন্দিরে থাকবে। ২৮ জুন উল্টো রথের দিন বিগ্রহ মদনমোহন মন্দিরে ফিরে আসবে। রথযাত্রা উপলক্ষে এদিন গুঞ্জবাড়িতে এক সপ্তাহ ব্যাপী শুরু হয়েছে। রথ যাতায়াতের রাস্তায় কড়া পুলিশি পাহারার বন্দোবস্ত ছিল। কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “নির্বিঘ্নেই রথযাত্রা সম্পূর্ণ হয়েছে।” কোচবিহার দেবত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সচিব তাপস মণ্ডল বলেন, “রথের দড়ি টানতে পূণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়েছিল।” দেবত্র ট্রাস্ট সূত্রের খবর, রথযাত্রা উপলক্ষ্যে গুঞ্জবাড়ি মন্দিরে সাতদিন নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান হবে। নবদ্বীপ ও বহরমপুরের কীর্তনের দলও সেখানে অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে।
|
গ্যাসে ‘লিক’, আতঙ্ক |
গাড়ি উল্টে গ্যাস বের হওয়ায় আতঙ্ক ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানার চিকিরতলা এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে হলদিয়া থেকে শিলিগুড়ি গামী একটি গ্যাসের ট্যাঙ্কার ওই এলাকায় যায়। এর ফলে এলাকাতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। |
|