কটূক্তির প্রতিবাদ করায় স্বামী ও দেওরকে মারধর করে এক বধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একদল ‘মদ্যপ’ যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার গোয়ালটালি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বুধবার সন্ধ্যায় চোপড়া থানায় গিয়ে ওই বধূর পরিবারের লোকজন অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ বৃহস্পতিবার ওই ঘটনায় মানিক দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ব্যক্তির বাড়ি গোয়ালটালি এলাকাতেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ দিন ধৃতকে আদালতে হাজির করানো হলে ৩ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক বিকাশ লামা। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “এসডিপিও ঘটনার তদন্ত করছেন। শীঘ্রই অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।”
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই বধূর পরিবার জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বধূটি তাঁর স্বামী ও দেওরের সঙ্গে স্থানীয় কাচাকালি হাট থেকে হেঁটে ফিরছিলেন। হাট থেকে তাঁদের বাড়ি বেশ কিছুটা দূরে। গোয়ালটালি এলাকায় ৫ যুবক রাস্তার ধারে মদের আসর বসিয়েছিল। বধূটিকে দেখে ওই যুবকেরা আপত্তিকর মন্তব্য করলে স্বামী ও দেওর প্রতিবাদ করেন। সেই সময়ে ওই যুবকেরা বধূর স্বামী ও দেওরকে মারধর করে। অভিযোগ, ওই দু’জনকে আটকে রেখে বধূকে জঞ্জালের স্তূপে টেনে নিয়ে গিয়ে ৫ যুবক পরপর ধর্ষণ করে। এর পরে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে ওই যুবকেরা চলে যায় বলে পুলিশের কাছে বধূটি দাবি করেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। তাঁর স্বামী ও দেওরের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হবে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই হাট থেকে ফেরার রাস্তায় নিয়মিত মদের আসর বসে। সন্ধ্যার পরে মহিলাদের পক্ষে সেখান দিয়ে যাতায়াত করাই মুশকিল হয়ে যায়। হাট ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের তরফে নানা সময়ে পুলিশি ব্যবস্থার দাবি উঠলেও তা না হওয়ায় দুষ্কৃতীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। |