চিকিৎসকের অপমৃত্যুর তদন্তে সিআইডি
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষক-চিকিৎসক বিক্রম সাহার আত্মহত্যা এবং তার পিছনে হুমকি-প্ররোচনার অভিযোগের তদন্তভার নিল সিআইডি। বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীকে পাঠানো এক ‘বার্তা’য় তদন্তভার জেলা পুলিশের হাত থেকে নিজেদের হাতে নেওয়ার কথা জানান সিআইডি কর্তৃপক্ষ। সিআইডি অফিসারেরা এর পরেই বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন। সিআইডি সূত্রের খবর, ঘটনার তদন্তকারী অফিসার (আইও) হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ডিডিআই (খড়্গপুর) বিকাশরঞ্জন মিত্র। পুলিশ সুপার বলেন, “সিআইডি-ই তদন্ত করবে।” এই সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করে বিক্রমবাবুর স্ত্রী শালিনীদেবী বলেন, “সিআইডির উপর আমাদের আস্থা রয়েছে।”
বুধবারই মেদিনীপুরে এসেছিলেন ডিআইজি সিআইডি (অপারেশন) কে জয়রামন। জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠকে বিক্রমবাবুর আত্মহত্যা সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা-পুলিশের তদন্ত কী ভাবে এগোচ্ছে, সে নিয়ে খোঁজখবর নেন সিআইডি-কর্তা। পরে মৃত চিকিৎসকের বাড়িতেও যান। বিক্রমবাবুর স্ত্রী তথা এই মামলার অভিযোগকারিণী শালিনীদেবী-সহ সাহা-পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন জয়রামন। বুধবার সকালে
ফরেন্সিকের একটি দলও ওই চিকিৎসকের বাড়িতে এসে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেছিল। সিআইডি-র ডিআইজি অবশ্য বুধবারেও জানিয়েছিলেন, জেলা পুলিশই তদন্ত করছে। সিআইডি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে মাত্র। সিআইডি সূত্রের খবর, বুধবার মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় ফিরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট দেন ডিআইজি সিআইডি। রাতেই সিদ্ধান্ত হয়, এ ক্ষেত্রে সিআইডি-ই তদন্ত করবে।
উল্লেখ্য, প্রধান শাসকদল তৃণমূলের তরফে আগেই সিআইডি-তদন্ত এবং এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের গ্রেফতারের দাবিতে জেলা পুলিশের এএসপি-র কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। বিক্রমবাবুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় দীপকবাবু ছাড়াও ৬ জন চিকিৎসকের নামে হুমকি-প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছেন শালিনীদেবী। অভিযুক্ত ৬ চিকিৎসকের মধ্যে অনুপ রায় এখন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। বাকি ৫ জন মেদিনীপুর শহরেই থাকেন। তাঁদের মধ্যে অশোক মাইতি, আশিস হাজরা, মৃণাল বর্মন, অরুণ আচার মেদিনীপুর মেডিক্যালেই কর্মরত। অন্য এক চিকিৎসক দেবাশিস মজুমদারও আগে এই মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিলেন। কয়েক মাস আগে তিনি ইস্তফা দেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর সদর কোতায়ালি থানায় শালিনীদেবী অভিযোগ দায়ের করার পরেই রবিবার সকাল থেকে ৫ চিকিৎসক আত্মোগোপন করেন। মঙ্গলবার অবশ্য মেডিক্যালের ৪ চিকিৎসক ছুটির জন্য ফ্যাক্স-মারফত কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনপত্র পাঠান। বুধবার তাঁদের তরফে আইনজীবীর মাধ্যমে আগাম জামিনেরও আবেদন করা হয় মেদিনীপুর জেলা-দায়রা আদালতে। আগামী ১০ জুলাই সেই আবেদনের শুনানির দিন ঠিক হয়েছে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপকবাবু অবশ্য মেদিনীপুর শহরেই রয়েছেন। আগাম জামিনের আবেদনও করেননি। সিআইডি তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরে এ বার তিনি কী করবেন? সরাসরি জবাব দেননি প্রবীণ এই সিপিএম নেতা। তাঁর বক্তব্য, “এটি একটি মিথ্যে মামলা। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.