টুকরো খবর |
গাফিলতির অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল লাগোয়া একটি নার্সিংহোমে। অভিযুক্ত চিকিৎসক ও নার্সিংহোমের কর্মীদের শাস্তির দাবিতে মৃতার পরিবারের লোকজন প্রায় দু’ঘণ্টা নার্সিংহোমে বিক্ষোভ দেখান। সামিল হন এসএফআইয়ের নেতা-কর্মীদের একাংশও। পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। রায়গঞ্জ থানার আইসি সুবীর কুমার পাল বলেন, “মৃতার পরিবারের লোককে থানায় অভিযোগ জানাতে বলেছিলাম। কিন্তু তাঁরা থানায় অভিযোগ না জানিয়েই মৃতদেহ নিয়ে চলে যান। অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মৃতার নাতি এসএফআই রায়গঞ্জ পূর্ব লোকাল কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, “নার্সিংহোমের চিকিৎসক ও কয়েকজন কর্মীর গাফিলতির জেরেই ঠাকুমার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের লোকজন মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করাতে রাজি না হওয়ায় আমরা থানায় অভিযোগ জানাইনি।” অভিযুক্ত চিকিৎসক সঞ্জয় শেঠ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। অস্ত্রোপচার করে ওই বৃদ্ধার পা থেকে পুঁজ বার করার পর তাঁর কিডনির সমস্যা শুরু হয়। তাঁকে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।” মৃতার নাম রাজুবালা দাস (৬০)। বাড়ি রায়গঞ্জ থানার খোকসা বর্মপুর এলাকায়। তাঁর পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার আচমকা রাজুবালাদেবীর বাঁ পা ফুলে যায়। তাঁকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক সঞ্জয় শেঠের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়। সঞ্জয়বাবুর পরামর্শে তাঁকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। ৯টা নাগাদ সঞ্জয়বাবু রাজুবালাদেবীর পায়ে অস্ত্রোপচার করেন। তার পরে ওই বৃদ্ধার আর জ্ঞান ফেরেনি বলে নালিশ। বুধবার সাড়ে ৩টে নাগাদ সঞ্জয়বাবু রাজুবালাকে অন্যত্র রেফার করার পরামর্শ দেন। বৃদ্ধার নাতি সঞ্জয় বলেন, “১৮ ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকার পর ঠাকুমার মৃত্যু হয়। অস্ত্রোপচার করার ঠাকুমার শরীরের পরীক্ষা করা হয়নি।”
|
ডাক্তার প্রহৃত, কর্মবিরতি তিনসুকিয়ার হাসপাতালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
চিকিৎসকদের গায়ে হাত তোলার প্রতিবাদে তিনসুকিয়ার লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। গত কাল রাতে পিংকি দাস নামে এক যুবতীর মৃত্যুর জেরে তাঁর পরিবারের লোকেরা চিকিৎসকদের উপরে হামলা চালায়। পুলিশ জানিয়েছছে, গত কাল সকালে পিংকির অস্ত্রোপচার হয়। হাসপাতালের তরফে তাকে দুই ইউনিট ‘ও’ নেগেটিভ রক্ত দেওয়া হয়। বাড়ির লোককে আরও রক্ত যোগাড় করতে বললেও তারা রক্ত আনতে পারেননি। রক্তের অভাবে পিংকিংর মৃত্যু হয়। কিন্তু পিংকির মৃত্যুর জন্য হাসপাতালকে দায়ী করে, তার আত্মী-স্বজনরা চিকিৎসক জয়ন্ত ভট্টাচার্য ও প্রশান্ত বরগোহাঁইকে মারধর করে। ভাঙচুর চলে হাসপাতালে। জয়ন্তবাবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। কর্মবিরতির ফলে আজ রোগী ভর্তি বন্ধ ছিল। তবে যাঁরা ভর্তি রয়েছেন সেই সব রোগীদের চিকিৎসা নিয়মমতোই চলেছে। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা আজ হাসপাতালে যান। কর্তৃপক্ষর সঙ্গে তাঁদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য হাসপাতালে ক্লোজ্ড সার্কিট টিভি ক্যামেরা বসানো হবে। একটি পুলিশ ফাঁড়িও হাসপাতালে তৈরি করা হবে।
|
রক্ত দিলেন ডাক্তার, নার্সরাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
|
বাঁকুড়া মেডিক্যালে রক্তদান শিবির।—নিজস্ব চিত্র। |
ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের ঘাটতি চলতে থাকায় সংকট মেটাতে উদ্যোগী হল বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল কলেজের অডিটোরিয়ামে তাঁরা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলেন। সেখানে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, হাউসস্টাফ থেকে ডাক্তারি পড়ুয়াদের পাশাপাশি রক্ত দিলেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ও সাধারণ মানুষেরাও। হাসপাতালের সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “তীব্র গরমের জন্য কয়েকটি রক্তদান শিবির বাতিল হওয়ায় ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের সঙ্কট দেখা দেয়। সমস্যা মেটাতেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হল। হাসপাতালের সর্বস্তরের কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই রক্ত দান করেছেন।”
|
বাজে বন্ধ স্বাস্থ্য-পরিষেবা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
বাজ পড়ে যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কোচবিহার জেলা সদর হাসপাতাল চত্বরের সিটি স্ক্যান পরিষেবা বন্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে কোচবিহার জেলা তো বটেই, ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীরা বিপাকে। বাসিন্দারের অভিযোগ, এর জেরে বাইরের সেন্টার গুলিতে সিটিস্ক্যান করানোর জন্য ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। তার পরেও সমস্যা কবে মেটানো হবে সে ব্যাপারে কোনও মহলের হেলদোল নেই। জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “এমন সমস্যার কথা জানানো হয়নি। খোঁজ নিয়ে দ্রুত পরিষেবা চালুর ব্যাপারে উদ্যোগী হব।” ওই সিটিস্ক্যান সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত ধ্রুবজ্যোতি গুপ্ত বলেন, “পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে।”
|
ডাক্তাররা ওষুধের শ্রেণিই লিখুন, মত আমিরের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
|
সংসদে আমির খান। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই |
ওষুধের নাম না লিখে শুধুমাত্র শ্রেণিগত নাম (জেনেরিক নেম) ব্যবহার করার পক্ষে মত দিলেন আমির খান। ওষুধ তৈরিতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত সংসদীয় প্যানেলের সদস্যদের সঙ্গে আজ দেখা করে তিনি নিজের মতামত জানান। রাজস্থান ও তামিলনাড়ুর উদাহরণ তুলে আমির বলেন, এই দুই রাজ্যে ওষুধের শ্রেণিগত নামই ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা। ফলে সস্তায় ওষুধ দোকানে বেছে নিতে পারেন গরিব মানুষ। কিছু দিন আগে টেলিভিশনে চিকিৎসকদের দুর্নীতির বিষয়টি সামনে এনেছিলেন আমির। আজ তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা সকলেই বুঝি যে, বড় ওষুধ সংস্থাগুলি সব সময়েই চেষ্টা করে সবচেয়ে বেশি লাভ করার। কিন্তু গরিবরা কেমন করে সস্তায় ওষুধ পেতে পারে সেটাও দেখতে হবে।”
|
পুলিশে হেল্থ-কার্ড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুলিশকর্মীদের হেল্থ-কার্ড দেওয়া শুরু হল মেদিনীপুরে। বৃহস্পতিবার থেকে মেদিনীপুর পুলিশ-লাইনে এক স্বাস্থ্য-পরীক্ষা শিবির শুরু হয়েছে। এই শিবির থেকেই হেল্থ-কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এ দিন প্রায় ১০০ জন পুলিশকর্মীর হাতে কার্ড তুলে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য-পরীক্ষার পরে জেলার বিভিন্ন থানায় কর্মরত পুলিশকর্মীদের হাতেও এই কার্ড তুলে দেওয়া হবে।
|
মৃত্যু |
ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার রাতে কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নাম বিমল সরকার (২৭)। শামুকতলা থানার উত্তর শিবকাটা গ্রামে বাড়ি। |
|