|
|
|
|
জিটিএ |
মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির আশ্বাস নেই, কক্ষত্যাগ বিরোধীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গোর্খা আঞ্চলিক প্রশাসন (জিটিএ) নিয়ে আলোচনা ও পাহাড় সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির আশ্বাস না-পাওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ওয়াকআউট করল বিরোধী বামফ্রন্ট।
জিটিএ-র আওতায় নতুন এলাকা অন্তর্ভুক্তির দাবি পর্যালোচনার জন্য শ্যামল সেনের রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকার যে তথ্যানুসন্ধান কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে, তা নিয়েও সরব হয় বামেরা। তাদের প্রশ্ন ছিল, এক জন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির রিপোর্ট সম্পর্কে আইএএস অফিসারেরা কী করে মতামত দিতে পারেন? সংসদীয় গণতন্ত্রে নীতির প্রশ্ন তুলে বিরোধী বিধায়কেরা আরও অভিযোগ করেন, জিটিএ সম্পর্কিত সব তথ্য সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁদের জানতে হচ্ছে। অথচ বিধানসভা চলাকালীন সরকারের কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত হলে তা আগে বিধানসভার সদস্যদের জানানো নিয়ম। মুখ্যমন্ত্রী ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে’ বিধানসভা এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করে একে ‘গণতন্ত্রের পক্ষে মারাত্মক প্রবণতা’ বলে উল্লেখ করেছেন বাম বিধায়কেরা।
ওয়াকআউটের পরে বিধানসভা চত্বরে বাম
বিধায়কেরা ঘোষণা করেন, তাঁরা সেচ দফতরের বাজেট আলোচনায় যোগ দেবেন না। পরে অবশ্য মিনিট
পাঁচেকের জন্য বাজেট বিতর্কে থেকে তাঁরা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে আলোচনা করতে যান। সেখানে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন। মিনিট কুড়ির বৈঠকের পরে বাম বিধায়কেরা বেরিয়ে এসে জানান, স্পিকার বলেছেন, আজ, শুক্রবারের অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন। কিন্তু জিটিএ নিয়ে কিছু বলবেন কি না, স্পষ্ট করে জানা যায়নি। সিপিএম নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী আনিসুর রহমান বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই বিষয়ে জেনে নেবেন, এমন সাহস স্পিকার বা পার্থবাবু কারও নেই! মুখ্যমন্ত্রীও বোধহয় বিধানসভায় আমাদের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন! শুক্রবারও শেষ পর্যন্ত আসবেন কি না সন্দেহ!” তবে তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রের খবর, আজ অধিবেশনের প্রথম পর্বে বিধানসভায় উপস্থিত থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
অধিবেশন চলাকালীন এ দিন বিরোধী পক্ষের
আনিসুর প্রথমে জিটিএ নিয়ে আলোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির প্রসঙ্গ তোলেন। সঙ্গে সঙ্গে হইচই শুরু হয়। বাম বিধায়কেরা স্লোগান দিতে-দিতে কক্ষ ত্যাগ করেন। পরে বাইরে আনিসুর বলেন, “বিল পেশ, প্রশ্নোত্তর-পর্ব, কখনওই মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন না। প্রথম দিন বক্তৃতার সময় তিনি অনেক বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পরে তাঁর কিছুই রাখতে পারেননি। কথা ছিল, গত ১৮ জুন তিনি বিধানসভায় আসবেন এবং জিটিএ নিয়ে বলবেন। এলেন না। স্পিকারও কিছু বলছেন না। আমরা তা হলে এখানে কী করতে আসি?” ডিএসপি-র প্রবোধ সিংহ, আরএসপি-র সুভাষ নস্কর, ফব-র পরেশ অধিকারীরাও আনিসুরকে সমর্থন করে বলেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিয়মিত বিধানসভায় আসতেন। প্রশ্নের উত্তর দিতেন, সারা দিন থাকতেন। সরকার যে চুক্তি করবে, তা নিয়ে তো বিধানসভায় বিবৃতি দিতে হবে। অথচ আমাদের এখন সব জানতে হচ্ছে টেলিভিশন দেখে, খবরের কাগজ দেখে! পরিষদীয় গণতন্ত্রের রীতি মানা হচ্ছে না। বিধানসভা চলাকালীন সভাকে এড়িয়ে কেউ নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবেন, এটা তো হতে পারে না! এ ক্ষেত্রে ওয়াকআউটই আমাদের প্রতিবাদের পথ।” |
|
|
|
|
|