পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সড়ক ২১টি। তবে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির ভিত্তিতে সড়কগুলির উন্নয়নের জন্য প্রথম দফায় আপাতত চারটি সড়কের প্রাক্-সংস্কার সমীক্ষার দায়িত্ব ভারতীয় রেলের সহযোগী সংস্থা ‘রাইটস’কে দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
পশ্চিমবঙ্গ সড়ক উন্নয়ন নিগম সংস্থার পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাকে উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রথমে কোন চারটি রাজ্য সড়ককে বেছে নেওয়া হবে, সপ্তাহখানেকের মধ্যে তা ঠিক করবে সদ্য গঠিত একটি কমিটি। সেই কমিটিতে থাকছেন পূর্তসচিব, বিদ্যুৎসচিব, নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং পূর্ত দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার প্রমুখ।
এ দিন মহাকরণে অনুষ্ঠিত পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে নীতিগত ভাবে ঠিক হয়েছে, প্রথম দফার চারটি সড়কের মধ্যে একটি হবে উত্তরবঙ্গের, একটি জঙ্গলমহলের। বাকি দু’টি সড়ক রাজ্যের অন্য জায়গার। যে-সব সড়কে বেশি যানবাহন চলাচল করে, প্রথমে সেগুলিকেই বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। যে-সব রাজ্য সড়ক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসম্পন্ন এবং ধর্মীয় দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলির সঙ্গে যুক্ত, অগ্রাধিকার পাবে সেগুলিও। এক সরকারি মুখপাত্র জানান, যে-সব রাজ্য সড়ক দিয়ে বেশি যান চলাচল করে, সেগুলোর উন্নয়নেই লগ্নি করতে আগ্রহী হবে বেসরকারি সংস্থাগুলি। কারণ, রাস্তা উন্নয়নের খরচ তোলার জন্য ওই সব রাস্তায় টোল আদায় হবে বেশি।
রাজ্য সড়কগুলির দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলির উন্নয়ন, সংস্কার ও মেরামতির সব দায়িত্ব বর্তাবে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার উপরে। রাজ্য সড়কগুলিতে কী ধরনের উন্নয়নের কাজ করতে হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেবে রাজ্য সরকারই। রাইটসকে দিয়ে করানো নিজস্ব সমীক্ষায় সরকার দেখবে, কোথায় কোথায় রাস্তা চওড়া করতে হবে, কোথায় সেতু, কালভার্ট, উড়ালপুল গড়তে হবে, সব মিলিয়ে রাস্তাটির উন্নয়নে কত খরচ হবে প্রভৃতি। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই আপাতত চারটি রাজ্য সড়কের উন্নয়নে বেসরকারি লগ্নি আহ্বান করবে সরকার। বেসরকারি সংস্থাগুলি যাতে রাস্তা উন্নয়নের খরচ টোল বসিয়ে তুলে নিতে পারে, সেই জন্য পশ্চিমবঙ্গ সড়ক আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে বলে জানান পূর্তসচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন।
বাকি ১৭টি রাজ্য সড়কের কী হবে? মহাকরণের খবর, ওই সব সড়কের প্রাক্-সংস্কার সমীক্ষার জন্যও ধীরে ধীরে প্রকাশ্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। |