পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষায় পাশ করে প্যানেলভুক্ত হয়েও যাঁরা সরকারি চাকরি পাচ্ছেন না, তাঁরা কাল, শনিবার রানি রাসমণি অ্যাভিননিউয়ে ‘প্রতীকী’ অনশন এবং জুতো পালিশ করবেন। বাম বিধায়কদের অনেকের ওই আন্দোলন কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের গ্রুপ ডি পদে কর্মী নেওয়ার জন্য পিএসসি ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে বিজ্ঞাপন দেয়। সেখানে ৪০১৩টি শূন্যপদের কথা বলা হয়েছিল। পরীক্ষা হয় ২০১০ সালে। ২০১১ সালের ৩০ মে থেকে ধাপে ধাপে সাতটি প্যানেলে সফল চাকরিপ্রার্থীদের নাম প্রকাশিত হয়। এখন ‘অধিকার রক্ষা মঞ্চ’ গড়ে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের নাম ছিল গত বছর ১৫ জুন প্রকাশিত দ্বিতীয় তালিকায়। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি পাওয়ার কথা তাঁদের। কিন্তু এক বছরের বেশি হয়ে গেলেও চাকরির নিয়োগপত্র পাননি তাঁরা। সেই দাবিতেই কাল তাঁদের আন্দোলন। আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা না পেলেও তাঁদের প্যানেলের পরে প্রকাশিত তালিকাগুলি থেকে কিন্তু সরকার কর্মী নিয়োগ করেছে।
|
কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিউসি-র বেশ কিছু কার্যালয় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র কর্মী-সমর্থকেরা দখল করে নিয়েছে বলে মুখ্যসচিবের কাছে অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্য আইএনটিইউসির সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব সমর ঘোষের সঙ্গে দেখা করে তাঁর অভিযোগ, “বর্ধমান ও হুগলিতে আইএনটিইউসি-র সাত-আটটি কার্যালয় আইএনটিটিইউসি-র কর্মীরা দখল করে নিয়েছে। ফলে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা খুবই চাপে রয়েছেন। মুখ্যসচিবকে বলেছি, এটা কেবল রাজনৈতিক বিষয় নয়, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নও এর সঙ্গে জড়িত।” মুখ্যসচিব বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে প্রদীপবাবু জানান।
|
বিভিন্ন গ্রাম ও শহরাঞ্চলে পানীয় জল, শৌচালয়, পরিবেশ, বাড়ি ও বস্তি এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে (এনএসএসও) দেশ দুড়ে সমীক্ষা শুরু করতে চলেছে। ওই সমীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে বৃহস্পতিবার থেকে বহরমপুরে চার দিনের কর্মশালার আয়োজন করে ওই সংস্থা। ওই কর্মশালায় অংশ নিয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম-সহ ৮টি জেলার ৬০ জন প্রতিনিধি। ওই ৮টি জেলা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উত্তর-অঞ্চলের অধিকর্তা ওঙ্কারপ্রসাদ ঘোষ বলেন, “আগামী ১লা জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছ-মাস ধরে ভারতের ৫৯টি অঞ্চলে ওই সমীক্ষা চালাবে।”
|
নবসাক্ষর, স্কুলছুট ও প্রাপ্তবয়স্কদের মাধ্যমিক স্তরে পঠন-পাঠনের জন্য প্রতি ব্লকে একটি করে ‘অ্যাডাল্ট হাইস্কুল’ চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্য করবে রাজ্যের জনশিক্ষা-প্রসার দফতর। পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫টি ব্লকেই দ্রুত ‘অ্যাডাল্ট হাইস্কুল’ খোলার জন্য বুধবার জেলা পরিষদের শিক্ষা-সংস্কৃতি-তথ্য ও ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির বৈঠকে আলোচনা হয়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা জানান, প্রয়োজনীয় জমির সংস্থান করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে। |