কোথাও গোয়াল ঘরে, কোথাও ঠাকুর দালানে, ক্লাবে, আবার কোথাও বা খোলা আকাশের নীচে চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি। কাছাকাছি স্থানীয় জলের কল না থাকায় পুকুরের জলেই বানানো হচ্ছে শিশুদের খাবার। এমনই বেহাল অবস্থা ক্যানিং মহকুমার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির। |
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, ক্যানিং মহকুমায় মোট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮৮৪টি। এর মধ্যে ক্যানিং-১ ব্লকের ৪৮৯টি, ক্যানিং-২ ব্লকের ৩৯২টি, গোসাবা ব্লকের ৪৪৬টি ও বাসন্তী ব্লকের ৫৫৭টি কেন্দ্র রয়েছে। এই সব কেন্দ্রের বেশির ভাগটাই অন্যের বাড়িতে চলছে। ক্যানিং-১ ব্লকের গোপালপুর পঞ্চায়েতের ভদ্রীগ্রামে ৩২১ নম্বর কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় খোলা আকাশের নিচে রোদের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াচ্ছেন শিক্ষিকা। পাশেই রান্না হচ্ছে পড়ুয়াদের জন্য খিচুড়ি। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী চন্দনা মণ্ডল বলেন, “গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় একটি অস্থায়ী পলিথিনের ছাউনি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু কালবৈশাখীর ঝড়ে সেটি উড়ে যাওয়ায় এখন ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দফতরকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। ”
নিজস্ব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের স্থায়ী ঘর না থাকায় এক দিকে যেমন সমস্যায় থাকতে হয় কর্মীদের তেমনি অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় ওই কেন্দ্রে পড়তে আসা পড়ুয়াদেরও। ওই কেন্দ্র রান্নার কাজে যুক্ত থাকা কল্পনা সরদার বলেন, ‘‘স্কুলের নিজস্ব রান্নাঘর না থাকায় খোলা আকাশের নিচে রান্নার কাজ করতে হয়। ভয় হয় খাবারে কুকুর, বিড়াল মুখ দিয়ে দেয় আর সেই খাবার শিশুদের দেওয়া হলে সমস্যা হতে পারে।”
বিষয়টি নিয়ে ক্যানিংয়ের মহকুমা শাসক শেখর সেন বলেন, “মহকুমায় মাত্র ১৫ শতাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব ঘর রয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির যাতে নিজস্ব ঘর থাকে সে জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে চেষ্টা করা হচ্ছে।” |