ফের আত্মসমালোচনা। এ বার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত। সরকার পরিচলনার ক্ষেত্রে তাঁদের যে ‘ত্রুটি’ ছিল এ দিন কৃষ্ণনগরে এক সভায় প্রকাশ্যেই তা স্বীকার করে গেলেন তিনি।
সরকার পরিচালনা ‘বড্ড বেশি আমলা নিভর্র’ হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করার পাশাপাশি অসীমবাবু জানান, শিক্ষা ক্ষেত্রেও তাঁদের ‘দায়বদ্ধতার অভাব’ ছিল। পাশাপাশি কর্মীদের ‘দম্ভ’ও বড় প্রকট হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করছেন তিনি। তিনি বলেন, “বন্ধু না হয়ে শাসক হয়ে উঠেছিলাম। আঙুল তুলে কথা বলছিলাম।” বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্রভবনে বামপন্থী শিক্ষক শিক্ষাকর্মী সংগঠন ও শিক্ষার গণতন্ত্রীকরণ সংস্থার ডাকে কনভেনশানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাসগুপ্তের এমনই আত্মসমালোচনা শোনা গেল এ দিন। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর ছাড়া অন্য কোথাও জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে সমস্যা হয়নি। সাধারণ কৃষকের সঙ্গে আলোচনা না করে জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়েই সমস্যা হয়েছে। আর সেই ছিদ্র পথ দিয়ে ঢুকে পড়ে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি। বিদেশি শক্তিও ছিল। আর এ সবের ফলে আমাদের পরাজিত হতে হয়েছে।” তবে বর্তমান সরকারকে ‘উল্টো পথে’ হাঁটার জন্যও দূষছেন তিনি। তিনি বলেন, “এখন জমির পাট্টা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এমনকী সাধারণ মানুষের পঞ্চায়েতের উপর আধিকারিকদের বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “এই ক-মাসে ৬১ জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছে। কোনও বড় শিল্প হল না। কোনও বিদ্যালয় তৈরি হয়নি। কোনও শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। কলেজ পরিচালন সমিতিতে বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বসিয়ে দেওয় হচ্ছে। বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি গুলি অস্ত্র দেখিয়ে দুর্বৃত্তরা জোর করে দখল করে নিচ্ছে। এরই মধ্যে সত্তরের দশককে মনে পড়িয়ে দিচ্ছে।” |