মোটা টাকার কাজের টোপ দিয়ে কাকদ্বীপ থেকে এক নাবালিকাকে নিয়ে আসা হয়েছিল কৃষ্ণনগরে। তারপর জোর করেইয় তাকে নামনো হয়েছিল দেহব্যবসায়। বুধবার রাতে সেই নাবালিকাই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে কৃষ্ণনগর শহরের মানিকনগরে যে বাড়িতে মধুচক্র চলে সেই বাড়িটি চিনিয়ে দেয়। ধরিয়ে দেয় বাড়িটির মালিক মধুচক্রের পাণ্ডা ঊর্মিলা মল্লিততে। কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমন মিশ্র বলেন, “পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করছে। আরও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।” পাচার হয়ে আসা ওই নাবালিকার অভিযোগ, শুধু ওই বাড়িতেই নয়, প্রায় দিন তাকে রাতের অন্ধকারে কৃষ্ণনগরের পাশে জঙ্গল সংলগ্ন ধাবায় রেখে আসা হত। পর দিন সকালে তার সারারাতের আয়ের বেশির ভাগটাই নিয়ে নেওয়া হত। শুধু সে একাই নয়, এমন বেশ কয়েকজন মহিলাকে এ ভাবে দিনের পর দিন ব্যবহার করেছে ঊর্মিলা মল্লিক। বছর তিনেক আগে বারুইপুরের এক রাজমিস্ত্রির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই নাবালিকার। বছর খানেক আগে মেয়েকে নিয়ে তাঁর স্বামী নিখোঁজ হয়ে যায়। কোলের ছেলেকে নিয়ে ওই নাবালিকা ফিরে যান বাপের বাড়ি। তিনি বলেন, “বাবা খুব গরিব। আমি কোনও আয় করতে পারতাম না বলে মা গঞ্জনা দিতে শুরু করে। এক দিন বাড়ির সামনের মাঠে এক জনের সঙ্গে আলাপ হয়। সে আমাকে মোটা টাকার কাজের লোভ দেখিয়ে কৃষ্ণনগরে নিয়ে আসে। তারপর ওরা আমাকে ওই বাড়িতে রেখে জোর করে দেহব্যবসায় নামায়।” জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে আপাতত ঠাঁই হয়েছে সেই নাবালিকার। কমিটির চেয়ারম্যান রিনা মুখোপাধ্যায় বলেন, “এ ভাবে বহু মেয়েকেই ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে শহরের ভিতরেই দেহব্যবসায় নামাতে বাধ্য করা হচ্ছে।”
|
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে খুন করা হল এক যুবককে। নিহত মনোহর হালদার (৩৭)-এর বাড়ি তেহট্ট থানার নিশ্চিন্তপুরে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে স্থানীয় তারকনগর প্রাথমিক স্কুলের মাঠে গুলি করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পলাশিপাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যবসা সংক্রান্ত গণ্ডগোলের জেরে তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তিই তাঁকে খুন করেছে। নিহতের বোন সুষমা হালদার বলেন, “যারা খুন করেছে তাদেরই একজন দাদার কাছ থেকে সোনার গয়না বন্ধক দিয়ে টাকা নিয়েছিল। সেই টাকার সুদ নিয়েই গণ্ডগোল হয়। তার জেরেই খুন করা হয়েছে।”
|
যাত্রী বোঝাই বাসের সঙ্গে লরির সংঘর্ষে জখম হলেন আট যাত্রী। তার মধ্যে বাসের চালকও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কান্দির রসড়ায় কান্দি-সালার রাজ্য সড়কের ঘটনা। যাত্রী বোঝাই বাসটি সালার থেকে কান্দি ঢোকার মুখে উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরির সংঘর্ষ হয়। বাসের চালক সুবোধ মণ্ডল-সহ ৮ জনকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়।
|
বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক চাষির। নাম আবু বক্কর শেখ (৫৬)। বুধবার সন্ধ্যায় ভরতপুর থানার তালগ্রাম এলাকার কূয়ে নদীর কাছে জমিতে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ে বাজ পড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মাঠে খুঁজতে যান। সেই সময়ে নদীর পাড়ের কাছে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। অন্য দিকে, রথের মেলা দেখতে যাওয়ার পথে এ দিন বিকেলে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে চুমকি রাজবংশী (১৫) নামে এক ছাত্রীর। বাড়ি সুতির কান্দোয়া গ্রামে।
|
নিজের বাড়িতে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে মারা গিয়েছেন এক যুবক। নাম নাজির শেখ (২৫)। বুধবার সন্ধ্যায় সুতির দেবীপুরের ঘটনা। পুলিশ জানায়, পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।
|
১৪ কামরার ট্রেন চালানোর জন্য পূব-রেলের লালগোলা-শিয়ালদহ শাখার লালগোলা স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম সংস্কারের কাজ চলছে। ওই কাজ করতে গিয়ে ১৭৪ নম্বর লেভেল ক্রশিং বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার দিকে ২০০ মিটার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন লালগোলা-শিয়ালদহ শাখায় সর্বোচ্চ ১২ কামরার ট্রেন চলাচল করে। অচিরেই ১৪ কামরার ট্রেন চালানো হবে। এ জন্য প্ল্যাটফর্ম বড় করা হচ্ছে।
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। নাম রেণুকা বিবি (৩০)। জলঙ্গি থানার হুকাকারা গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলা বুধবার সকালে গায়ে আগুন লাগল কী করে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তারপরে তাঁকে বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে রাতে সেখানেই মারা যান রেণুকা বিবি।
|
বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৭টি ওয়ান শটার উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রানিনগরের ঘটনা। বহরমপুর থেকে রানিনগরগামী একটি বাসে রাখা একটি ব্যাগ থেকে সেগুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
|
পুরোদস্তুর পুলিশ। জঙ্গলমহলের তিন জেলা থেকে পুলিশের চাকরির জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল ৫০৭ জন যুবককে। নদিয়ার কল্যাণীতে তাঁদের পঁচাত্তর দিনের প্রশিক্ষণ শেষ হল বৃহস্পতিবার। এ দিন বিকেলে অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খানের সামনে তাঁদের কুচকাওয়াজ। |