|
|
|
|
কমিটি গঠন গ্রামে |
জলপ্রকল্প দেখভালে বাসিন্দারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে গ্রামে-গ্রামে নলকূপ বসাবে সরকার। সেচের জন্য গভীর নলকূপও বসানো হবে। কিন্তু তা দেখভাল করবে কে? বিদ্যুতের খরচই বা দেবে কে? এর জন্য গ্রামে-গ্রামে উপযুক্ত ‘বেনিফিসিয়ারি কমিটি’ তৈরিতে জোর দিচ্ছে প্রশাসন। এই কমিটিই সরকারি প্রকল্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “কমিটি ঠিক মতো কাজ করলে কোনও গ্রামেই পানীয় জল বা সেচের অসুবিধে হবে না। প্রকল্প তৈরির জন্য অর্থও রয়েছে। তাই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে কমিটি গড়ার উপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। উপযুক্ত কমিটি তৈরি করলেই প্রকল্পের জন্য টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।”
পানীয় জল হোক বা সেচ, এখন সব ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ গভীর-অগভীর নলকূপ দাবি করছেন। আর পাইপ লাইন হলে কথা-ই নেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে বিদ্যুতের খরচ কে দেবে? সরকার তো বছরের পর বছর ব্যয় নির্বাহ করবে না। উপভোক্তাদেরই রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের খরচ মেটাতে হবে। কিন্তু কী ভাবে তা মেটানো হবে, কে উপভোক্তাদের থেকে টাকা সংগ্রহ করবেন, কে বিদ্যুৎ বিল মেটাবে এ সবের জন্যই কমিটি প্রয়োজন। উপভোক্তাদের নিয়েই কমিটি হবে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছেজমি। সেচের জন্য হোক বা পানীয় জল, নলকূপ বসাতে সামান্য হলেও জমি চাই। জমি দিতে হবে স্থানীয় মানুষকেই। কে জমি দেবেন, তা গ্রামবাসীদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে কমিটি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পানীয় জলপ্রকল্প বাস্তবায়িত করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় সমস্যা হয়েছে। প্রথমে গ্রামবাসীরা জলপ্রকল্প তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই মতো বিডিও-র মাধ্যমে প্রকল্প রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। জেলাস্তরের অনুমোদনও মিলেছে। কিন্তু জমি-জটে নলকূপ বসানো যায়নি। অন্য সমস্যাও রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বিদ্যুৎ চালিত নলকূপের জন্য সরকার ৫ বছর পর্যন্ত বিদ্যুতের খরচ দেবে। তার পর উপভোক্তাদেরই বিদ্যুৎ-খরচ দিতে হবে। দেড় লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জলপ্রকল্প তৈরি করার ৫ বছর পর যদি বিদ্যুৎ-বিল নিয়ে সমস্যায় প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়, তখন সাধারণ মানুষকেই বিপাকে পড়তে হবে। ব্যর্থ হবে প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, এ রকম বহু ঘটনার উদাহরণ রয়েছে। কোনও কারণে গ্রামে সরকারি টিউবওয়েল সামান্য খারাপ হয়েছে। স্থানীয় মিস্ত্রি দিয়েই তা সারিয়ে দেওয়া যায়। খরচ হবে হয়তো ১০০ টাকা। ওই সামান্য কাজটুকু করতেও কেউ উদ্যোগী হন না। পরিবর্তে দূর থেকে জল নিয়ে আসেন। কেউ আবার জল কিনে খান। আর অপেক্ষায় থাকেন, কবে প্রশাসনিক কর্তারা গ্রামে এসে টিউবওয়েল সারিয়ে দিয়ে যাবেন। এই উদ্যোগের অভাব বন্ধ করতেই ‘বেনিফিসিয়ারি কমিটি’ গড়তে সর্বাধিক জোর দেওয়া হচ্ছে।
ট্রাফিক সিগন্যাল। বাঁকুড়া শহরে ‘ট্রাফিক সিগন্যাল’ ব্যবস্থা চালু হল। বৃহস্পতিবার এই নয়া যান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন বাঁকুড়ার পুরপ্রধান শম্পা দরিপা। বাঁকুড়ার মাচানতলার মোড়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার-সহ আরও অনেকে। শম্পাদেবী জানান, শহরের মাচানতলার মোড়, কলেজ মোড়, সতীঘাট, লোকপুর ও কাঠজুড়িডাঙার মত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ‘ট্রাফিক সিগন্যাল’ বসানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|