টুকরো খবর
অ্যাডাল্ট হাইস্কুল খুলতে উদ্যোগ পূর্বে
নবসাক্ষর, স্কুলছুট ও প্রাপ্তবয়স্কদের মাধ্যমিক স্তরে পঠন-পাঠনের জন্য প্রতি ব্লকে একটি করে ‘অ্যাডাল্ট হাইস্কুল’ চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্য করবে রাজ্যের জনশিক্ষা-প্রসার দফতর। পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫টি ব্লকেই দ্রুত ‘অ্যাডাল্ট হাইস্কুল’ খোলার জন্য বুধবার জেলা পরিষদের শিক্ষা-সংস্কৃতি-তথ্য ও ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির বৈঠকে আলোচনা হয়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা জানান, প্রয়োজনীয় জমির সংস্থান করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে। শীঘ্রই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। জেলা পরিষদ ও জনশিক্ষা-প্রসার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার সুযোগ থাকবে অ্যাডাল্ট স্কুলগুলিতে। পরবর্তী সময়ে স্কুলগুলিকে মাধ্যমিক-স্তরে উন্নীত করা হবে। প্রতিটি হাইস্কুলে ৬ জন সহকারী শিক্ষক, এক জন প্রধান শিক্ষক ও এক জন করে পিয়ন নিয়োগ করা হবে। নতুন ওই স্কুল গড়ার ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বা পিছিয়ে পড়া এলাকাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষেই এই স্কুল চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা সভাধিপতি।

রথের মেলায় উপচে ভিড়
প্রতি বছরের মতো এ বারও কাঁথি মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় রথের মেলায় উপচে পড়ছে ভিড়। কাঁথি শহরে সকাল থেকেই খুদেরা ছোট-ছোট রথ সাজিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েছে। শহরের দারুয়া এলাকায় জমজমাট রথের মেলা। মারিশদা থানার বাহিরীতে প্রায় তিনশো বছরের প্রাচীন রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বাহিরী রথযাত্রা সেবাইত সমিতির সদস্য রাজদুলাল নন্দ জানান, রথযাত্রা উপলক্ষে ৯ দিন ধরে মেলা হয় এখানে। তবে, মহকুমার সবচেয়ে বড় রথযাত্রা ও মেলা হয় রামনগর ২ ব্লকের মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেমুরিয়াতে। সাড়ে তিনশো বছরের প্রাচীন ডেমুরিয়া জগন্নাথ দেবের মন্দিরের রথযাত্রাকে ঘিরে এলাকায় উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ নেই। এখানে ১২ দিন ধরে চলে রথের মেলা। লক্ষাধিক মানুষের ভিড়ে জমজমাট মেলা প্রাঙ্গণ। মেলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তমালতরু দাসমহাপাত্র জানান, নাগরদোলা, সার্কাস, ম্যাজিক-শোবিনোদনের কোনও কিছুই বাকি রাখা হয়নি। রকমারি দোকানপাট বসেছে। বিক্রি হচ্ছে চারা গাছ।

৭ ‘মাওবাদী’র বিচার শুরু
২০১০-র মে-মাসে খেজুরি থেকে মাওবাদী সন্দেহে কয়েকজনের ধরা পড়া-সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হল কাঁথি আদালতের ফাস্ট-ট্র্যাক থার্ড-কোর্টে। এ দিন বিচারক উৎপল মিশ্রের এজলাসে সাক্ষ্য দেন খেজুরি থানার তৎকালীন ওসি অতনু সাঁতরা। সরকারি আইনজীবী গৌতম সামন্ত ওসি-কে জেরা করেন। জেরা অসম্পূর্ণ থাকায় আগামী ১৭ জুলাই ফের অতনুবাবুর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। ২০১০-এর ১৪ মে খেজুরির পানখাই থেকে মাওবাদী-কার্যকলাপে যুক্ত অভিযোগে লুৎফর রহমান, সৌমেন মণ্ডল ও শতরূপা দাসকে গ্রেফতার করে খেজুরি থানার পুলিশ। পরে সঞ্জয় দাস, মধুসূদন মণ্ডল, রাধ্যেশ্যাম দাস, সিদ্ধার্থ মণ্ডলের নামও এই মামলায় যুক্ত হয়। শেষ তিন জন মাওবাদী-যোগসাজশের অন্য একাধিক মামলাতেও অভিযুক্ত হয়ে জেলবন্দি রয়েছেন। অন্য ৪ জন এই মুহূর্তে জামিনে মুক্ত। অভিযুক্ত ৭ জনই বৃহস্পতিবার কাঁথি আদালতে হাজির ছিলেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, বেআইনি কার্যকলাপ নিরোধক আইন (ইউএপিএ), বিস্ফোরক আইনের ধারায় চার্জশিট দাখিল হয়েছে।

এসইউসি-র স্মারকলিপি
নন্দীগ্রামের কেন্দেমারি জালপাই পঞ্চায়েত এলাকার বিপিএল তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে বিডিওকে স্মারকলিপি দিল এসইউসি। বুধবার নন্দীগ্রাম ১-এর বিডিও-র কাছে লিখিত স্মারকলিপি দেন কেন্দেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা এসইউসি নেতা মনোজ দাস। তাঁর অভিযোগ, ২০০৫ সালে তৈরি বিপিএল তালিকায় নাম ছিল এমন ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে একই বিপিএল নম্বরে পরবর্তী সময়ে অন্য ব্যক্তিদের নাম ঢোকানো হয়েছে। গোপীমোহনপুর, ওসমানচক, রাজারামচক গ্রামের ১৯টি পরিবারের নাম এ-ভাবে বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ মনোজবাবুর। কেন্দেমারি জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ সাহাবুদ্দিন অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চাননি। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও ইজাজ আহমেদ অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

অসুস্থ বন্দিকে হাতকড়া, রিপোর্ট তলব কমিশনের
ঝাড়গ্রামে অসুস্থ এক বন্দিকে হাসপাতালে হাতকড়া পরিয়ে রাখার ঘটনায় পুলিশের কাছে রিপোর্ট চাইল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। কমিশন সূত্রের খবর, সম্প্রতি কমিশনের চেয়ারম্যান অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানান গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির (এপিডিআর) সহ-সম্পাদক বাপি সেনগুপ্ত। ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, লালগড়ের বাসিন্দা কমলেশ মাহাতো নামে এক ছাত্রনেতাকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয়। বন্দি অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালের শয্যায় তাঁর হাতে শিকল পরিয়ে রাখা হয়। বিষয়টির নিয়ে আলোচনা হয় কমিশনে। কমিশনের চেয়ারম্যান অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপির কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।” কমিশন সূত্রের খবর, চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এপিডিআরের অভিযোগ, এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করা হয়েছে।

কৃতীদের সংবর্ধনা
কৃতীদের পুরস্কার। —নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতীদের সংবর্ধনা দেওয়া হল বৃহস্পতিবার। কালেক্টরেটের মিটিং-হলে এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক সুরজিৎ রায়, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সংঙ্ঘমিত্র মাকুড় প্রমুখ। মাধ্যমিকের ৫৮ জন ও উচ্চমাধ্যমিকের ২০ জন কৃতী ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধিত করা হয়। এ ছাড়া, মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে যে ১৬ জন মাধ্যমিকে উত্তীণর্র্ হয়েছেন, তাঁদেরও সংশোধনাগারে সংবর্ধিত করা হয়।

মন্দিরে গয়না চুরি
মন্দিরের তালা ভেঙে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না চুরির অভিযোগ উঠল। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার উখরাপাড়া গ্রামে। পাঁশকুড়ার খণ্ডখোলা এলাকার উখরাপাড়া গ্রামের শীতলা মন্দিরটি প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন। মন্দিরের মূর্তির গায়ে গ্রামবাসীদের দান করা বেশ কিছু সোনার গয়না ছিল। অভিযোগ, বুধবার রাতে ওই মন্দিরের তালা ভেঙে মূর্তির সমস্ত গয়না নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা মন্দিরের দরজা খোলা দেখে চুরির ঘটনা জানতে পারেন। তদন্ত শুরু হয়েছে।

ভাতা মিলছে না, ডাকঘরে বিক্ষোভ
বার্ধক্য ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
কয়েক মাস ধরে বার্ধক্য-ভাতা না-পেয়ে ডাকঘরে বিক্ষোভ দেখালেন ভাতা-প্রাপকেরা। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে শালবনির কাশীজোড়ায়। কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, দ্রুত বকেয়া ভাতা দেওয়া হবে। এর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কয়েক দিন আগে মেদিনীপুর সদরের পাঁচখুরিতেও এ ভাবে ডাকঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ভাতা-প্রাপকেরা। বৃহস্পতিবার দেঁউচা ও কাশীজোড়ার বেশ কয়েকজন ভাতা-প্রাপক এই বিক্ষোভে যোগ দেন। তাঁদের অভিযোগ, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই ভাতার টাকা মিলছে না। অথচ, জেলা থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন চরণ সিংহ, কমলা সিংহরা। তাঁদের বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ তৎপর নন। প্রায়ই ভাতা পেতে সমস্যা হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য থেকে যে-ভাবে টাকা আসে, সে-ভাবেই ব্লক-স্তরে টাকা বরাদ্দ করা হয়। ব্যাঙ্ক কিংবা ডাকঘরের মাধ্যমে ভাতার টাকা দেওয়া হয়। এ দিন ডাকঘর কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশ্বাস দেন, কিছু সমস্যার জন্যেই ভাতার টাকা দিতে সমস্যা হচ্ছে। দ্রত টাকা দেওয়া হবে। শুরুতে দেঁউচা সাব-ডাকঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে কাশীজোড়া ডাকঘরের সামনেও বিক্ষোভ দেখান ভাতা-প্রাপকেরা। শালবনির বিডিও জয়ন্ত বিশ্বাস সমস্যা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.