|
|
|
|
জমজমাট মহিষদলের রথোৎসব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
লক্ষাধিক জনতার ভিড়ে, ভেঁপুর শব্দে আর তেলেভাজার গন্ধে জমে উঠল মহিষাদলের ঐতিহ্যবাহী রথ উৎসব। বৃহস্পতিবার দুপুরে রথতলার শহিদস্তম্ভ থেকে ২৩৬ বছরের পুরনো রথকে টেনে নিয়ে যাওয়া হল গুন্ডিচা বাটির দিকে। রীতি অনুযায়ী পালকি করে এসে রথের রশি টেনে রথযাত্রার উদ্বোধন করলেন মহিষাদলের রাজ পরিবারের অন্যতম সদস্য হরপ্রসাদ গর্গ। সঙ্গে ছিলেন উত্তরসূরি সৌর্যপ্রসাদ গর্গ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার, জেলা সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, মহকুমাশাসক শিল্পা গৌড়িসারিয়া, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা মিশ্র প্রমুখ। এ দিন সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান মহিষাদলে। বিকেল গড়াতেই ভিড়ে ঠাসা সিনেমা মোড় থেকে শুরু করে গুন্ডিচা বাটি, তেরাপেখ্যা মোড়, রাজবাড়ি সংলগ্ন ছোলাবাড়ি, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড। আগের মতো শুধুমাত্র রাস্তার ধারে নয়, এ বারে মেলা ছড়িয়ে পড়েছে আনাচে-কানাচে। দেদার বিকোচ্ছে চারাগাছ, জিলিপি। নাগরদোলা, পাখির কল-কাকলিতে জমজমাট চারদিক।
রথের মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান ছাড়া মেলা পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব পঞ্চায়েত সমিতির। পরিবেশ দফতরের তরফে এ দিন রাজবাড়ির কাছে একটি ‘গ্রিন ক্যাম্প’ করা হয়। পরিবেশমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতি ও রাজ পরিবারের পরিচালনায় সুষ্ঠু ভাবেই রথ উৎসব পালিত হচ্ছে। পুরনো এই ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের তরফে যদি কিছু করণীয় থাকে, তা হলে সাধ্যমতো করব।” পুলিশি নিরাপত্তা ছাড়াও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের তরফে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক ছিল মেলা চত্বরে। মহকুমাশাসক শিল্পা গৌড়িসারিয়া বলেন, “যতদিন মেলা চলবে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সঙ্গে রয়েছে কমব্যাট ফোর্সও। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন প্রস্তুত।” |
|
|
|
|
|