|
|
|
|
সবংয়েও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শাসক তৃণমূলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষ চলছেই। কেশপুর, গড়বেতা, পিংলা, ডেবরার পর এ বার সবং। বুধবার রাতে সবংয়ের মোহাড় পঞ্চায়েত এলাকার দুবরাজপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। জখম হন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনকে সবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একটা গোলমাল হয়েছে বলে স্বীকার করলেও ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অমূল্য মাইতি। তিনি বলেন, ‘‘ওখানে একটা গোলমাল হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নন।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।
বুধবার রাতে সবংয়ের মোহাড় অঞ্চলের দুবরাজপুরে তৃণমূলের এক দলীয় বৈঠক ছিল। প্রায় ১০০ জন দলীয় কর্মী-সমর্থক যোগ দেন। বৈঠক শেষে সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর লোকজন অন্য গোষ্ঠীর লোকজনদের উপরে আক্রমণ চালায়। অন্যান্য এলাকার মতো সবংয়েও তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী রয়েছে। একপক্ষ ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতির অনুগামী বলে পরিচিত। অন্যপক্ষ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অমূল্য মাইতির অনুগামী বলে পরিচিত। যদিও এই গোষ্ঠী-বিন্যাসের কথা স্বীকার করেন না দলের জেলা নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, এ সবই অপপ্রচার। বুধবার রাতের গোষ্ঠী-সংঘর্ষে জখম হন বেশ কয়েক জন। তাঁদের মধ্যে মদন মাইতি, নারায়ণ মাইতি ও নিতাই বর্মনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দলীয় সূত্রে খবর, মতানৈক্যের জেরে বাড়ি ফেরার পথে অমূল্যবাবুর অনুগামী বলে পরিচিতরাই প্রভাতবাবুর অনুগামী বলে পরিচিতদের উপরে আক্রমণ চালান। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। খোদ অমূল্য মাইতি বলেন, “ওখানে একটা গোলমাল হয়েছে বলে শুনেছি। কে বা কারা কাদের মারধর করেছে। ঘটনার সঙ্গে দলের কারও যোগ নেই। আমাদের কেউ জড়িত নন।” বুধবার রাতের ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সবংয়ের মতো কংগ্রেস-দুর্গেও গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের ঘটনায় তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়ছে। |
|
|
|
|
|