|
|
|
|
ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব গোঘাটে, মারে আহত ১৫ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
ফের তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’ উত্তেজনা ছড়াল গোঘাটের রঘুবাটি পঞ্চায়েত এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে খাটো গ্রামে দলের এক গোষ্ঠীর লোকজন অন্য গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে, বাড়িতে হামলা চালায় এবং মহিলাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। আহতদের মধ্যে দু’জনকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্তেরা।
তৃণমূলের এই গোষ্ঠী-বিবাদে ত্রস্ত সাধারণ মানুষও। তাঁরা এলাকায় শান্তি ফেরানোর দাবিতে পুলিশ ও মহকুমা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “এলাকায় কোনও রকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” এসডিপিও (আরামবাগ) শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” ধৃতদের মধ্যে রঘুবাটি গ্রামের তৃণমূল নেতা জয়দেব চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ছেলে রঞ্জনও রয়েছেন।
জয়দেববাবুর সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছে তাঁর ভ্রাতৃবধূ মিঠুদেবীর। মঙ্গলবার মিঠুদেবী সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন পাশের সন্তা গ্রামের আর এক তৃণমূল নেতা প্রদীপ রায়কে। নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রদীপবাবুর সঙ্গে জয়দেববাবুর বিরোধ ছিলই। নতুন ভাবে তা বাড়ে মঙ্গলবার থেকে। দুই গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার গোলমাল হয় খাটো গ্রামে। এ দিন প্রদীপ-গোষ্ঠীর লোকজন সকাল ৯টা নাগাদ জয়দেববাবুর অনুগামীদের বাড়িতে গিয়ে হামলা, মারধর এবং মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই হামলাকারীরা পালায়।
প্রদীপবাবু বলেন, “গোলমালের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। জয়দেববাবু এবং তাঁর আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বেআইনি কার্যকলাপে গ্রামবাসীরা বিরক্ত। এ দিন জনরোষেরই প্রতিফলন ঘটেছে।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জয়দেববাবুর অনুগামী তথা খাটো গ্রামের তৃণমূল নেতা সুভাষ কোলে বলেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি বলেই আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে চাইছে প্রদীপবাবুর লোকজন।” |
|
|
|
|
|