|
|
|
|
বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, সাজা স্বামী-শাশুড়ি, দেওরের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
এক বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে তাঁর স্বামী, শাশুড়ি এবং দেওরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানার নির্দেশ দিলেন উলুবেড়িয়ার ফাস্ট-ট্র্যাক সেকেন্ড-কোর্টের অতিরিক্ত জেলা-দায়রা বিচারক প্রশান্তকুমার শীল। সাজাপ্রাপ্তরা হল মৃত জহুরা বিবির স্বামী আনিসুর আলম, শাশুড়ি আক্তিরন বিবি এবং দেওর আখতার আলম। আনিসুর এবং আখতারের ৮ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ হয়েছে। অনাদায়ে আরও ২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড। আক্তিরন বিবিকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বধূ-নির্যাতনের সাজা হিসাবেও তিন জনের ২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাস সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ হয়েছে। তবে দু’টি সাজাই এক সঙ্গে চলবে বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী অনুপ্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৩ সালে বাগনানের খাজুট্টি গ্রামের জহুরা বিবির সঙ্গে স্থানীয় মালিয়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রি আনিসুরের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বাপেরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য জহুরার উপরে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাত তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামী ও দেওর। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ১৯৯৫-এর ১০ ডিসেম্বর শ্বশুরবাড়িতেই নিজের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী হন জহুরা। তাঁর বাবা হবিবর রহমান মল্লিক ওই দিনই থানায় ৪ জনের নামে মেয়ের উপরে নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা চলাকালীনই অবশ্য জহুরার শ্বশুর শেখ ভজা মারা যান। |
|
|
|
|
|