|
|
|
|
হাইকোর্টে সিঙ্গুরের রায় আজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রায় আট মাস ধরে দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পরে আজ, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টায় সিঙ্গুর নিয়ে টাটাদের দায়ের করা আপিল মামলার রায় দেবে বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে পিনাকীচন্দ্র ঘোষের শেষ দিন। সোমবার তিনি হায়দরাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন।
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেন, ফেরত নেওয়া হবে সিঙ্গুরের ৪০০ একর জমি। সেই মতো বিধানসভায় ‘সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন আইন ২০১১’ পাশ করে রাজ্য। এবং গেজেট নোটিফিকেশনের পরে ২১ জুন রাতেই সিঙ্গুরের জমির দখল নেয় তারা। ওই অধিগ্রহণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে টাটা মোটরস। ইতিমধ্যে পুনর্দখল করা জমি অনিচ্ছুক চাষিদের ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছিল রাজ্য। তবে তা সরকারি ভাবে চাষিদের হাতে তুলে দেওয়ার আগেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বন্ধ রাখা হয়। সুপ্রিম কোর্ট জমির স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি হাইকোর্টকে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করতে বলে।
টাটাদের এই মামলায় উত্থান-পতন কম ছিল না। প্রথমে মামলা শুরু হয় বিচারপতি সৌমিত্র পালের এজলাশে। পরে তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ান। ফলে প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল মামলাটি পাঠান বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাশে। তিনি টাটাদের আপিল খারিজ করে আইনটিকে বৈধ ও সাংবিধানিক বলে রায় দেন। তবে একই সঙ্গে টাটাদের যাতে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, সে জন্যও রাজ্যকে নির্দেশ দেন। টাটারা ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে। ওই আপিলের ফয়সালা হবে আজ, শুক্রবার। রায় ঘোষণা করার পরে বিচারপতি পিনাকী ঘোষকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হবে। |
|
|
|
|
|