তিন দফা তদন্তে সন্তুষ্ট হওয়ার পরেই বিধাননগরে বাড়ি-জমি হস্তান্তরে অনুমতি দেবে নগরোন্নয়ন দফতর।
বৃহস্পতিবার এ কথা জানান রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রী জানান, সল্টলেকে কোনও বাড়ি বা জমি হস্তান্তরের অনুমতি দেওয়ার আগে প্রথম তদন্তটি করবে পুলিশ। তার পরে তদন্ত করবে নগরোন্নয়ন দফতর। সব শেষে তদন্ত করবে পুরসভা। এই তিন দফা তদন্তে সন্তুষ্ট হলেই জমি হস্তান্তরের অনুমতি দেবে প্রশাসন।
মন্ত্রী জানান, জমি হস্তান্তরের জন্য আবেদন করলে প্রথমে দেখা হবে, কেন ওই জমি বা বাড়ির বর্তমান লিজ-মালিক তা হস্তান্তর করতে চাইছেন। কোনও চাপের সামনে নতিস্বীকার করে তিনি হস্তান্তরে বাধ্য হচ্ছেন কি না, সেটাই এ ক্ষেত্রে মূলত খতিয়ে দেখা হবে। পুরমন্ত্রী বলেন, “সল্টলেকে আমরা লিজ চুক্তি তুলে দিইনি। লিজ হস্তান্তর করা হবে মাত্র। বিক্রির অধিকার লিজ-মালিকদের দেওয়া হয়নি। নির্বিচারে হস্তান্তরের অনুমতিও দেওয়া হয়নি। আবেদনের ভিত্তিতে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে বিশেষ ক্ষেত্র হিসেবেই এই অনুমতি দেওয়া হবে।” ‘বিশেষ ক্ষেত্র’-এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, কোনও বাড়ির মালিক বাড়িতে একা থাকেন। সন্তানরা থাকেন দূরে। সন্তানদের কাছে পাকাপাকি ভাবে চলে যেতে অনেকে বাড়ি বিক্রি করে দিতে চান। কেউ অভাবেও বাড়ি বিক্রি করতে চান। কেউ বৃদ্ধ বয়সে বাড়ি বিক্রি করে বৃদ্ধাবাসে যেতে চান। মন্ত্রী বলেন, “সল্টলেকে বেআইনিভাবে জমি হস্তান্তর রুখতেই এই ব্যবস্থা।”
এ দিকে, সল্টলেকে চার কাঠা জমির উপরে পুরনো বাড়িতে লিফ্ট বসানোর অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে নগরোন্নয়ন দফতরের দ্বারস্থ হচ্ছে বিধাননগর পুরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, বিধাননগরের বেশ কিছু পুরনো বাড়ির মালিক তাঁদের বাড়িতে লিফ্ট বসানোর অনুমতি চেয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই সব বাড়িতে বৃদ্ধবৃদ্ধাদের দোতলা বা তিনতলায় উঠতে খুবই কষ্ট হয়। তাই বাড়িতে লিফ্ট বসাতে দেওয়া হোক। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে আমরা এই প্রস্তাব দিয়েছি। মন্ত্রী জানিয়েছেন, এতে রাজ্য সরকারের নীতিগত সমর্থন আছে।” কৃষ্ণাদেবী আরও বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বাসিন্দারা এই ব্যাপারে অনুমতি চাইছিলেন। বাড়ির পিছনে লিফ্ট বসানোর অনুমতি দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।” |