শহরে মাওবাদী তৎপরতার বিরুদ্ধে এ বার পথে নামছে তৃণমূল। আজ, শুক্রবার মধ্য কলকাতার কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের সামনে সভা করে মাওবাদীদের ‘রাজনৈতিক মোকাবিলা’ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। ওই সভায় মুকুল রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রমুখ তৃণমূলের মন্ত্রী ও শীর্ষ নেতাদের অনেকেরই বক্তা হিসাবে থাকার কথা।
দলের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতার কথায়, “মধ্য কলকাতায় ইদানীং মাওবাদীদের কাজকর্ম বেড়েছে। কলেজ স্ট্রিট কফি হাউস, গোলদিঘি সহ বিভিন্ন এলাকায় মাওবাদীরা জড়ো হয়ে নিজেদের মধ্যে মিটিং করছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। এর পিছনে সিপিএমের একাংশের মদত আছে। আমরা মানুষকে এই ব্যাপারে সজাগ করতে প্রচারে নামছি।”
ওই নেতা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, এলাকার বাসিন্দাদের মাধ্যমেই তাঁরা খবর পেয়েছেন, কয়েক মাস ধরেই কলেজ স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকায় মাওবাদীদের ৬-৭টি গোষ্ঠী গোপনে রাজনৈতিক প্রচার করছে। পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ‘রাজনৈতিকভাবেও মোকাবিলা’ করাও প্রয়োজন বলে ওই নেতা জানিয়েছেন।
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত এক বছরে মাওবাদীদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা এবং জঙ্গলমহল-সহ রাজ্যের সর্বত্র উন্নয়নের জন্য তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সমস্ত কর্মসূচি নিয়েছেন, তা প্রচারে তুলে ধরা হবে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন। বস্তুত ‘পরিবর্তনের এক বছর’ নাম দিয়ে এই প্রচার তাঁরা শুরু করলেও, মূল উদ্দেশ্য মাওবাদীদের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করা। আজ সভা হবে। আগামী ৩০ জুন, শনিবার কলেজ স্টিট এলাকায় তৃণমূল মিছিলও করবে। কলেজ স্কোয়ারে বিদ্যাসাগরের মূর্তির সামনে থেকে মিছিল শুরু হবে। এ ছাড়া ইউনির্ভাসিটি ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরি হলে আলোচনাসভা, বিভিন্ন দিনে পথসভা করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মধ্য কলকাতার দলীয় বিধায়ক ও কাউন্সিলরদের নিয়মিত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং সভা, মিছিল সংগঠিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। |