|
|
|
|
চাপে হাঁসফাঁস টাওয়ার |
বিএসএনএল-এর গ্রাহকেরা দুর্ভোগে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কখনও মিনিট খানেক কথা বলার পরেই সংযোগ কেটে যাচ্ছে। আবার কখনও লাইন চালু থাকলেও কোনও কথাই শোনা যাচ্ছে না। জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে বিএসএনএল মোবাইল গ্রাহকদের অনেকেই এমন হয়রানির অভিযোগে সরব হয়েছেন। বিএসএনএল সুত্রেও পরিষেবার ঘাটতি রয়েছে বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। সংস্থা সুত্রে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক মোবাইল টাওয়ার বসাতে না পারাতেই জলপাইগুড়ি শহর ও লাগোয়া এলাকায় বর্তমানে সমস্যা কিছুটা বেড়েছে। সংস্থার দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শহরের চারটে এলাকায় মোবাইল টাওয়ার তৈরি করেও পরে সমস্যা তৈরি হওয়ায় সেগুলি সরিয়ে নিতে সংস্থা বাধ্য হয়েছে। বিএসএনএল সুত্রে দাবি করা হয়েছে, বেসরকারি সংস্থাগুলি নিজেদের পছন্দের জায়গায় একের পর এক টাওয়ার বসিয়ে চলছে। অথচ বিএসএনএলের টাওয়ারের ক্ষেত্রেই নানা মহল থেকে বাধা আসে। সংস্থার দাবি, প্রয়োজনের তুলনায় মোবাইল টাওয়ার কম রয়েছে। সে জন্য প্রতিটি টাওয়ারে বাড়তি চাপ পড়ছে। ফলে পরিষেবার সমস্যা হচ্ছে. বর্ষার মরসুমে বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশে ত্রুটির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটছে। সংস্থার মোবাইল বিষয়ক আধিকারিক নিখিল রঞ্জন রায় বলেন, “সম্প্রতি পরপর চারটে টাওয়ার বসাতে গিয়ে আমরা বাধা পেয়েছি। তার মধ্যে তিনটে টাওয়ার প্রায় তৈরি হয়ে যাওয়ার পরেও সরিয়ে নিতে হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় টাওয়ার না-থাকায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে গ্রাহকদের পরিযেবা দিতে আমরা নিরন্তর চেষ্টা করছি।” বিএসএনএলের মোবাইল গ্রাহকদের অভিযোগ, গত সপ্তাহের শেষ দিক থেকেই মোবাইল পরিষেবার অবনতি ঘটেছে। বিএসএনএল মোবাইলে সংযোগ পেতেই বেগ পেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পরে সংযোগ পেলেও কয়েক সেকেন্ড কথা বলার পরেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। সংস্থার পরিভাষায় এই সমস্যাকে ‘কল-ড্রপ’ বলা হয়ে থাকে। কয়েকদিনে ‘কল-ড্রপের’ সমস্যা বেড়েছে বলে সংস্থার কয়েকজন অফিসার স্বীকার করেছেন। বিএসএনএল সূত্রেই জানা গিয়েছে, সংযোগ চালু থাকলেও অন্যপ্রান্তের কথা শোনা যাচ্ছে না বলেও অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। সংস্থার কর্মী সংগঠনগুলিও পরিষেবা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বুধবার কর্মী সংগঠন বিএসএনএলইউ প্রতিনিধিরা সংস্থার জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন বলে জানা গিয়েছে। |
|
|
|
|
|