|
|
|
|
জিটিএ নির্বাচন |
কৌশল নিয়ে মোর্চার বৈঠক রবিবার |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
যাবতীয় আন্দোলন প্রত্যাহার করে তারা জিটিএ নির্বাচনে যোগ দেবে কি না, তা ঠিক করতে দলের সব স্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগামী ২৪ জুন (রবিবার) বৈঠক ডাকল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। দার্জিলিঙের সিংমারিতে মোর্চার সদরে দফতরে বুধবার এক আলোচনার পরে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা এ কথা জানিয়েছেন। ২৪ জুন সকালে দার্জিলিং জিমখানা ক্লাবের হলে ওই বৈঠক হবে। সেখানে আলোচনার পরে দলের আগামী কর্মসূচি ও ‘কৌশল’ ঘোষণা করবেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ।
সিংমারিতে এ দিন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের বিশদ বিবরণ দলের সভাপতিকে জানানো হয়েছে। প্রাথমিক আলোচনার পরে ঠিক হয়েছে, আগামী ২৪ জুন দলের সব স্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে আন্দোলন প্রত্যাহার, জিটিএ ভোট, দলের কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে। তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন দলের সভাপতি।”
এত দিন যে কোনও ব্যাপারে মোর্চা নেতৃত্বকে ‘চটজলদি’ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে দেখেছেন পাহাড়বাসী। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তথ্য যাচাই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে পাঁচ দিন কেটে গেলেও মোর্চা নেতারা আন্দোলন প্রত্যাহার কিংবা জিটিএ-ভোটে অংশ নেওয়া নিয়ে ‘স্পষ্ট’ অবস্থান জানাননি। মোর্চার অন্দরের খবর, আন্দোলন প্রত্যাহার করে জিটিএ ভোটে যোগ দেওয়া নিয়ে দলের মধ্যে ‘দ্বিমত’ রয়েছে বুঝেই ‘ধীরেসুস্থে’ এগোতে চাইছেন বিমল গুরুঙ্গ। কারণ, ‘হুটহাট’ কোনও আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা যে পাহাড়ের সাধারণ মোর্চা সমর্থকেরা মেনে নেবেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন মোর্চা নেতাদের অনেকে। উপরন্তু, মোর্চা নেতাদের একাংশের আশঙ্কা, দলের কট্টরপন্থীদের চাপে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়ে আন্দোলন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, পাহাড়ের মোর্চা-বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে জিটিএ দখলের চেষ্টা করতে পারে। তা ছাড়া, সম্প্রতি পাহাড়ে সংগঠন জোরদার করতে তৃণমূলের আসরে নামার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে হচ্ছে মোর্চাকে। এমতাবস্থায় ‘ফতোয়া’ জারির রাস্তায় না হেঁটে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এগোতে চান খোদ গুরুঙ্গও।
মোর্চা সভাপতির কিছু ‘ঘনিষ্ঠের’ বক্তব্য, পাহাড়ের জনতা এখন আন্দোলনে না গিয়ে উন্নয়ন-প্রক্রিয়ায় গতি আনায় জোর দিচ্ছেন। দলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের মাধ্যমে সে ব্যাপারে অনেক ‘রিপোর্ট’ পৌঁছেছে মোর্চার সদর দফতরেও। এক শীর্ষ নেতা বলেন, “সব দিক দেখেশুনে সর্বজনগ্রাহ্য কৌশল ঠিক করতেই সময় নেওয়া হচ্ছে।”
পক্ষান্তরে, জিএনএলএফ শীর্ষ নেতা সুবাস ঘিসিংয়ের কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা প্রসঙ্গে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বলেন, “মামলা যে কেউ করতে পারেন। এটা কোনও বড় বিষয় নয়। জিটিএ-র মধ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়টি রয়েছে। আর এক বার জিটিএ গঠন হলে, পরে তার সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়টি আসবে। আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে সবই জানানো হবে।” এ দিকে, নলদাঁড়ায় তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য বিশাল ছেত্রী-সহ তিন জনকে মারধর করার অভিযোগে মোর্চার এক যুব নেতা রোহিত ছেত্রীকে মঙ্গলবার রাতে ধরেছে পুলিশ। মোর্চার সহ-সভাপতি প্রদীপ প্রধান অবশ্য দাবি করেন, ‘মিথ্যা’ অভিযোগ করেছে তৃণমূল। |
|
|
|
|
|