|
|
|
|
সরব কৃষিনীতি নিয়ে |
ঘূর্ণাবর্ত স্থির দাঁড়িয়ে শক্তি বাড়িয়ে সৃষ্টি করছে ভারী বৃষ্টির আশা |
নিজস্ব সংবাদাতা • কলকাতা |
বৃষ্টি সে ভাবে শুরু না-হলেও দক্ষিণবঙ্গের বর্ষা-ভাগ্য অচিরে খুলবে বলে আশা করছেন আবহবিদেরা।
তাঁদের আশার মূলে রয়েছে বঙ্গোপসাগরের উপরে থাকা সেই ঘূর্ণাবর্ত। বুধবার যা আরও শক্তিসঞ্চয় করেছে। আবহবিদদের মতে, তার জোর ক্রমে বাড়বে। এবং বিপুল শক্তি নিয়ে সেটি স্থলভূমিতে প্রবেশ করলেই প্রবল বৃষ্টি আরম্ভ হবে।
এ দিনের উপগ্রহ-চিত্রে দেখা যাচ্ছে, ঘূর্ণাবর্তটি বঙ্গোপসাগরের উপরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ছ’কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
কোনও ঘূর্ণাবর্তের শক্তি বাড়লেই এমনটা হয়। বস্তুত সেটি গত দু’দিন ধরে জোর বাড়িয়ে যাচ্ছে বলে আবহাওয়া অফিস ঘোষণা করে আসছে। তা-ও বৃষ্টি কেন হচ্ছে না?
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলেন, “ঘূর্ণাবর্তটি তিন দিন যাবৎ সমুদ্রের উপরে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। ওখানে থেকেই সে নিজের কেন্দ্রের দিকে জলীয় বাষ্প টেনে নিয়ে আসছে। তাই বৃষ্টি তেমন হচ্ছে না। কিন্তু ঘূর্ণাবর্ত সচল হয়ে স্থলভূমির দিকে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিও নামাতে থাকবে।”
কতটা বৃষ্টি নামাবে?
ঘূর্ণাবর্তটি যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে তার আর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা আলিপুর দেখছে না। তবে তার শক্তিবৃদ্ধির বহর দেখে আবহবিদদের ধারণা, আগামী ক’দিন দক্ষিণবঙ্গে যথেষ্ট বৃষ্টি হবে।
এমনকী, দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। তাতে জুন মাসের বৃষ্টি-ঘাটতির অনেকটাই পুষিয়ে যাবে বলে আলিপুরের আশা।
দক্ষিণবঙ্গে ‘সরকারি’ ভাবে বর্ষা ঢুকেছে রবিবার। কিন্তু এখনও কোনও জেলা বর্ষার বৃষ্টি পায়নি। মাঝেমধ্যে আকাশ কালো হয়ে যাচ্ছে, কোথাও কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হচ্ছে। তবু বর্ষা যে এসেছে, তা বোঝে কার সাধ্যি!
অতএব ঘাটতি বৃষ্টির বোঝা ঘাড়ে নিয়ে বর্ষার প্রতীক্ষায় রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ।
আর ঘূর্ণাবর্তের দৌলতে আজ, বৃহস্পতিবার রথযাত্রার দিন সেই প্রতীক্ষা অবসানের সূচনা হবে বলে আবহবিদদের আশা। আলিপুরের পূর্বাভাস, আজ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বাদ যাবে না উত্তরবঙ্গের ‘বৃষ্টি-বঞ্চিত’ দুই দিনাজপুর ও মালদহও। |
|
|
|
|
|