টুকরো খবর |
হুমকির ভয়ে অফিসে যাচ্ছেন না আধিকারিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাত্রসায়র |
এলাকার কিছু দুষ্কৃতীর হুমকিতে অফিসে যেতে ভয় পাচ্ছেন বলে বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ করলেন পাত্রসায়র ব্লকের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের পরিদর্শক বিনয়কান্তি সরকার। বুধবার তিনি মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, “গত বৃহস্পতিবার নতুন রেশনকার্ডের জন্য আবেদন পত্র জমা দিতে এসে কয়েকজন আমাকে হেনস্থা করে। পরে এক দুষ্কৃতী মদ্যপ অবস্থায় দলবল নিয়ে এসে চড়াও হয়ে আমাকে অফিস থেকে টেনে বের করে মারধরের চেষ্টা করে।” বিনয়বাবুর দাবি, সেদিন কিছু লোক প্রয়োজনীয় নথি ছাড়াই আবেদন পত্র জমা নেওয়ার জন্য আমাকে চাপ দেয়। রাজি না হওয়ায় ওরা আমাকে হেনস্তা করে। এরপর থেকেই স্থানীয় এক দুষ্কৃতী দলবল নিয়ে তাঁকে মারধরের হুমকি দিচ্ছে। ঘটনার কথা তিনি বিডিও থেকে জেলা খাদ্য ও সরবরাহ নিয়ামককে জানিয়েছেন। পাত্রসায়রের ভারপ্রাপ্ত বিডিও সমীরণকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, “খাদ্য ও সরবরাহ দফতরে কয়েকদিন ধরেই কিছু বহিরাগত লোক এসে গণ্ডগোল পাকাচ্ছে বলে ওই দফতরের পরিদর্শক অভিযোগ করেছেন। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) অদীপ রায় বলেন, “যারা গণ্ডগোল করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
বৃদ্ধকে না ফেরানোর অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
সুস্থ হয়ে ওঠা এক বৃদ্ধকে তাঁর পরিবারের লোকজন ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন না, এই অভিযোগ তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বাঁকুড়া শহরের এক নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। বাঁকুড়া সদর মহকুমাশাসক অরিন্দম রায় বলেন, “ওই বৃদ্ধকে তাঁর পরিবারের লোকজন ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন না বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে আমাকে জানিয়েছেন। টেলিফোনে চেষ্টা করেও বৃদ্ধের পরিবারের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। ইঁদুপুর থানার মাধ্যমে তাঁদের বাঁকুড়া থানায় আসতে বলা হয়েছে।” ওই বৃদ্ধের নাম বিরিঞ্চি নারায়ণ পতি। ইঁদপুর থানার পতিরডাঙা গ্রামে তাঁর বাড়ি। কিডনি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় গত ৭ জুন তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। প্রায় এক সপ্তাহ আগে তিনি সুস্থ হয়েছেন। নার্সিংহোমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিকিৎসক সুভাষ সরকার বলেন, “বিরিঞ্চিবাবুকে তাঁর নাতনি মঞ্জুশ্রী পতি ভর্তি করেছিলেন। তিনি সুস্থ হওয়ার পরে মঞ্জুশ্রীদেবীকে খবর পাঠানো হয়। ইঁদপুর থানার মাধ্যমে জানানো হয়। কিন্তু তিনি নিতে না আসায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।” এ দিন নার্সিংহোমে গিয়ে দেখা গেল, বৃদ্ধ ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। মাঝে মধ্যে নাতনির নাম উচ্চারণ করে কাঁদছেন। বুধবার মঞ্জুশ্রীদেবীকে ফোন করা হলে তিনি দাবি করেন, “কিছু সমস্যার জন্য দাদুকে নিয়ে আসতে পারছি না। তিনি সুস্থ হলে তবেই তাঁকে নিয়ে আসব। তবে নার্সিংহোমের খরচ মেটানো নিয়ে সমস্যা হবে না।”
|
ক্লাস শুরু হল সাঁতুড়ির স্কুলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁতুড়ি |
স্বাভাবিক পঠনপাঠন শুরু হল সাঁতুড়ির পলাশপাহাড়ি প্রাথমিক স্কুলে।বুধবার স্কুলে উপস্থিত হয়েছিল পড়ুয়ারা। কাজে যোগ দিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক মানিক হেমব্রমও। সাঁতুড়ি ব্লকেরই কুলাই গ্রামের প্রাথমিক স্কুল থেকে পলাশপাহাড়ি স্কুলে অস্থায়ী ভাবে এ দিন পাঠানো হয়েছিল আর এক শিক্ষক উৎপল চট্টোপাধ্যায়কে। সাঁতুড়ি চক্রের অবর স্কুল পরিদর্শক তাপস সেন বলেন, “পলাশপাহাড়ি স্কুলের সমস্যা মিটে গিয়েছে। এ দিন থেকে স্বাভাবিক ভাবে ক্লাস শুরু হয়েছে।” গড়শিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের পলাশপাহাড়ি গ্রামের প্রাথমিক স্কুলটি বন্ধ ছিল দেড় মাস ধরে। স্কুলের একমাত্র শিক্ষক মানিক হেমব্রম স্কুলে নিয়মিত না আসায় পড়াশোনা ব্যাহত হওয়ার অভিযোগে এবং মানিকবাবুর পরিবর্তে অন্য শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে গত ৪ মে স্কুলটিতে তালা দিয়ে দেন গ্রামবাসীরা।” স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ছুটির পরে গ্রামশিক্ষা কমিটির বৈঠক হয় স্কুলে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মানিক হেমব্রম অসুস্থতার কারণে গ্রামশিক্ষা কমিটির সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। কমিটির চেয়ারম্যান তথা গড়শিকা পঞ্চায়েতের প্রধান চন্দনা হাড়ি বলেন, “পলাশপাহড়ি স্কুলে স্বাভাবিক ভাবে ক্লাস শুরু হওয়ায় গ্রামবাসীরা খুশি। মানিকবাবর আবেদন কমিটির সদস্যেরা মঞ্জুর করেছেন। সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে অবর স্কুল পরিদর্শককে।” তাপসবাবু জানান, অন্য এক শিক্ষককে গ্রামশিক্ষা কমিটির সম্পাদক করা হচ্ছে।
|
খাতড়ায় বধূর মৃত্যু, ধৃত দুই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খাতড়া |
এক বধূকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। খাতড়া থানার দহলা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম টুম্পা ওরফে সঞ্চিতা দাস (২৫)। মঙ্গলবার সকালে শ্বশুরবাড়িতে তিনি অগ্নিদগ্ধ হন। বাঁকুড়া মেডিক্যালে তাঁকে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সন্ধ্যায় তাঁর বাবা সুশীল দাস খাতড়া থানায় জামাই-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মেয়েকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার পুলিশ টুম্পাদেবীর স্বামী অসীম দাস ও শ্বশুর রামানন্দ দাসকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত বছর আগে খাতড়ার দহলা গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় একটি বীমা সংস্থার এজেণ্ট অসীম দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই থানার শিকরাবাদ গ্রামের টুম্পার সঙ্গে। তাঁদের ৬ বছরের এক ছেলে ও ৪ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। সুশীলবাবুর অভিযোগ, “শ্বশুরবাড়িতে সাংসারিক নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরেই টুম্পার উপরে অত্যাচার চলছিল। মঙ্গলবার সকালে তাঁরাই মেয়েকে পুড়িয়ে মেরেছে। পুলিশ জানায়, বধূটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ওই বধূর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
|
কুয়োয় মহিলার দেহ |
ঝালদা থানা এলাকার তুলিন-জারগো রাস্তার পাশের একটি কুয়ো থেকে বুধবার সকালে বছর তিরিশের এক অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহে ধারালো অস্ত্রের একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ওই কুয়ো থেকেই বছর তিনেকের একটি শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে। তারও মাথায় চোট রয়েছে। তাকে ঝালদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, খুন করে মহিলাকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
|
রেলকর্মীদের ধর্না |
রেলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি-সহ কয়েক দফা দাবিতে ধর্না কর্মসূচি নিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেস। সংগঠনের আদ্রা ১ শাখা কমিটির সম্পাদক অমর সিংহের অভিযোগ, সুরক্ষার কাজে সরাসরি জড়িত ট্র্যাকম্যান, কি-ম্যান-সহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে জয়েন্ট কমিটি তাদের রিপোর্টে সুপারিশ করলেও রেল মন্ত্রক তা কার্যকর করছে না। |
|