সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য মাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে বাড়ির বেশির ভাগ ঘরে তালা দিয়েছিলেন তিন ছেলে। সরকারি কর্মী তিনি ছেলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুরুলিয়া শহরের মুন্সেফডাঙার কাশীনাথ চক্রবর্তী লেনের বৃদ্ধা কৈলাসী সাউ। বুধবার পুরুলিয়া সদরের মহকুমাশাসক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ও জেলা প্রশাসনের সুরক্ষা আধিকারিক সুমা ঘোষ পুলিশ নিয়ে গিয়ে ঘর খুলিয়ে বৃদ্ধাকে তাঁর আশ্রয় ফিরিয়ে দিলেন। বৃদ্ধার অভিযোগ, “চার ছেলের মধ্যে তিন ছেলে এই শহরের অন্যত্র আলাদা থাকে। আমার সঙ্গে থাকে ছোট ছেলে নবীন। তাই আমার সম্পত্তি আইনি ভাবে নবীনের নামে লিখে দিই। এতে বাকি তিন ছেলে ক্ষুদ্ধ হয়ে নবীনের ঘর বাদে বাকি সব ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আমাকে কখনও বারান্দায়, কখনও বা সিঁড়ির নীচে রাত কাটাতে হচ্ছিল। ওই ছেলেদের দুদর্শার কথা জানালেও, তারা কানে তোলেনি। বাধ্য হয়ে প্রশাসনের সাহায্য চাই।”
সুরক্ষা আধিকারিক সুমা দেবী বলেন “কৈলাসীদেবী সম্পত্তি ছোট ছেলেকে দেওয়ায় বাকি তিন ছেলের তা পছন্দ হয়নি। তাঁরা বাড়ির তিনটি ঘরে তালা দেওয়ায় নিজের বাড়িতেই কার্যত আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিলেন ওই বৃদ্ধা।” মহকুমাশাসক বলেন, “বন্ধ ঘরগুলি মায়ের জন্য খুলে দিতে তিন ছেলে নারাজ থাকায় আপাতত ওই বাড়িতে ১৪৪ ধারা জারি করে বৃদ্ধাকে তাঁর বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর ভরণপোষণের জন্য চারছেলেকে মাসে ৭০০০ টাকা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তবে বৃদ্ধার অভিযুক্ত তিন ছেলে জীবন সাউ, সবেন সাউ ও মিলন সাউদের দাবি, “আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন মা। আমরা তাঁর সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলাম।” |