|
|
|
|
গাড়ি উল্টে জখম ১৫ |
সংস্কারের দাবি, রাস্তা কাটলেন গ্রামবাসী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
রাস্তা বেহালের কারণে বাস উল্টে যাত্রীরা জখম হয়েছেন। এর প্রতিবাদে রাস্তা কেটে যানচলাচল বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে ময়ূরেশ্বর থানার ঠাকুরানিপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ওই গ্রামের কাছে রসুনপুর-মাজিয়াড়া রাস্তায় একটি বাস উল্টে যায়। তাতে ১৫ জন যাত্রী জখম হন। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের মধ্যে তিন জনকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে এবং ১ জনকে বহরমপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এর পরেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা সংস্কারের দাবিতে রাস্তা কেটে দেন। |
|
কেটে দেওয়া রাস্তা দিয়ে চলছে পারাপার। ছবি: অনির্বাণ সেন। |
রসুনপুর গ্রামের উপর দিয়ে গিয়েছে শিবগ্রাম-ষাটপলশা সড়ক। আবার মুর্শিদাবাদের মাজিয়াড়া থেকে ডাকবাংলা পর্যন্ত বছর তিনেক আগে নির্মিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় পাকা সড়ক। কিন্তু বার বার আবেদন করেও ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের আওতাধীন রসুনপুর থেকে মাজিয়াড়া পর্যন্ত প্রায় দেড় কিমি রাস্তা পাকা হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তাঁদের ক্ষোভ, বছর চারেক আগে মোরাম ফেলা হলেও রাস্তার কোনও অংশের উন্নতি হয়নি। অথচ এই রাস্তা দিয়ে অন্যান্য যানবাহন-সহ চলাচল করে দুই জেলার সংযোগকারী একাধিক বাসও। রাস্তা বেহালের কারণে বছর তিনেক আগে বাসের ধাক্কায় এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। সে সময়ও রাস্তা পাকা করার দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবরোধ করেছিলেন সংলগ্ন দুই জেলার বাসিন্দারা। তখন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘিয়ে ঘেরাও হয়েছিলেন তৎকালীন বিডিও কৌশিক সিংহ।
বাসিন্দাদের দাবি, ওই সময় বিডিও রাস্তা পাকা করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কাজই হয়নি। এই দিন তাই রাস্তা কেটে প্রতিবাদ জানান বাসিন্দারা। বিক্ষোভের মুখে পড়েন ময়ূরেশ্বর দুই পঞ্চায়েত সমিতির দুই কর্মাধ্যক্ষ নিতাইপদ ঘোষ এবং চন্দ্রনীল ঘোষ। তাঁরা বলেন, “বাসিন্দাদের ক্ষোভ স্বাভাবিক। রাস্তার সত্যিই খুব খারাপ।” তাঁদের দাবি, “আমরা জেলাস্তরে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।” গ্রামবাসী নিতাই মণ্ডল, তরুণ মণ্ডল, পলাশ মণ্ডলদের ক্ষোভ, “রাস্তা না কেটে উপায়ই বা কি? প্রশাসন রাস্তা সংস্কার করবে না, বাস মালিকেরা বেহাল রাস্তায় বাস চালানো বন্ধ করতে না মাঝখান থেকে সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা সমস্যায় পড়বেন।” বিডিও বাবুলাল মাহাতো বলেন, “রাস্তা কেটে বাসিন্দারা ঠিক কাজ করেননি। দুর্ভোগ পোহাতে হবে তাঁদেরকেই।
ওই রাস্তা প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় পাকা করার প্রস্তাব জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখছি কতদূর কী হয়েছে। দেরি হলে মোরাম দিয়ে সাময়িক সংস্কারের ব্যবস্থা করব।” অন্য দিকে, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন ভট্টাচার্যের আশ্বাস, “রাস্তা পাকা করার প্রস্তাব যদি গৃহীত হয়ে থাকে তাহলে ক্রমানুযায়ী রূপায়ণের ব্যবস্থা করা হবে।” |
|
|
|
|
|