|
|
|
|
বনেদিবাড়ির রথ ঘিরে সাজো সাজো রব নানুরে |
অর্ঘ্য ঘোষ • নানুর |
এ বার থেকে বোলপুরের বনেদি বাড়ির রথ এলাকা পরিক্রমা করবে। তাই উৎসাহের খামতি নেই ছোট থেকে বড়--সব বয়সের মানুষের মধ্যে। কারণ, দোল, দুর্গাপুজো-সহ নানা পুজো-অনুষ্ঠান হলেও নানুর এলাকায় সেই অর্থে এত দিন রথযাত্রা ছিল না। তাই এ বার থেকে বনেদি বাড়ির রথ নানুর পরিক্রমা করবে এই আনন্দে সাজো সাজো রব গোটা এলাকায়।
প্রচলিত রয়েছে, এক সময় দোল-দুর্গোৎসবের পাশাপাশি বোলপুরের কাছারিপট্টির দত্তবাড়িতে বনেদিয়ানার প্রতীক হিসেবে রথযাত্রার সূচনা হয়েছিল। নির্মিত হয়েছিল সুদৃশ্য রথও। কিন্তু নানা প্রতিকূলতায় পরবর্তীকালে ওই উৎসব বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দেয়। ২০০৭ সালে রথ-সহ ওই উৎসবের ভার তুলে দেওয়া হয় বোলপুরের ভিকিরবাঁধ এলাকার একটি ক্লাবকে। তারাও আর্থিক এবং অন্যান্য প্রতিকূলতায় উৎসবের আয়োজন নিয়ে দোটানায় পড়ে। সেই খবর পেয়ে রথ-সহ উৎসব আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করে নানুরের হরি গুণানুকীর্তন মহোৎসব কমিটি। ভিকিরবাঁধ এলাকার ওই ক্লাবের সম্পাদক অনির্বাণ শর্মা বলেন, “নানা প্রতিকূলতায় দত্তবাবুরা আমাদের রথ দান করেছিলেন। আমরা রথযাত্রা উৎসব করতে গিয়ে আর্থিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হই। নানুরের বাসিন্দারা আগ্রহ প্রকাশ করায় রথের ভার তাঁদের উপরে দিয়ে দেওয়া হয়। তবে আমরাও ওই উৎসবে সামিল হতে নানুরে যাব।” |
|
ছবি: সোমনাথ মুস্তাফি। |
স্বাভাবিক ভাবে উৎসবের মেজাজ ছড়িয়ে পড়েছে নানুরে। উৎসব কমিটির সভাপতি গদাধর সরকার এবং সম্পাদক সুনীল মুর্মু বলেন, “এলাকার অন্যান্য পুজো কিংবা অনুষ্ঠান থাকলেও এত দিন সেই অর্থে কোনও রথযাত্রা ছিল না। তাই রথযাত্রায় সামিল হওয়ার জন্য যাঁরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন।”
শুধু নানুরেই নয়, ওই রথযাত্রা ঘিরে লাগোয়া সাকুলিপুরেও উৎসাহের অন্ত নেই। কারণ পুরীর মতই মাসির বাড়ি হিসেবে সাত দিন সাকুলিপুরে অবস্থান করবে ওই রথ। সেই উপলক্ষে করা হয়েছে বিরাট মণ্ডপ। সাত দিন পুজার্চনার ব্যবস্থা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রথযাত্রা উপলক্ষে দুই গ্রামের মানুষদের নিয়ে সাকুলিপুরে আয়োজন করা হয়েছে পঙ্ক্তি ভোজের। নানুরের গৃহবধূ কৃষ্ণা ভট্টাচার্য, সাকুলিপুরের কমলা মণ্ডলদের কথায়, “দুর্গোৎসব ছাড়া তো দুই গ্রামের দেখা সাক্ষাৎ খুব একটা হয় না। দুই গ্রামের পঙ্ক্তি ভোজে কব্জি ডুবিয়ে খাব তো বটেই, চুটিয়ে গল্পও করব।” একই বক্তব্য সাকুলিপুরের উৎসব কমিটির সভাপতি কেশবভারতী কারক এবং সম্পাদক গণেশ সরকারের। নানুরের বিধায়ক গদাধর হাজরা বলেন, “সম্মানের সঙ্গে যাতে প্রতি বছর রথযাত্রা হয় তার জন্য সব রকম ভাবে গ্রামবাসীদের পাশে থাকব। |
|
|
|
|
|