ভাইকে মারধরের প্রতিবাদ করায় বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হল সোমনাথ বিশ্বাস (৩৫) নামে এক যুবককে।
তাঁর বাড়ি শান্তিপুরের সুত্রাগড়-সাহাপাড়ায়। মঙ্গলবার রাতে সোমনাথবাবুর বাড়ির পাশেই পাড়ার জনা কয়েক যুবক পিকনিক করছিলেন। সেখানে ছিলেন তাঁর ভাই গোপাল বিশ্বাসও। রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ গোপালের সঙ্গে গণ্ডগোল হয় পাড়ার কয়েক জন যুবকের। গণ্ডগোল হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। অভিযোগ, পাড়ার কয়েক জন গোপালকে মারধর করেছিলেন। ভাইয়ের চিৎকারে সোমনাথবাবু ছুটে আসেন। গণ্ডগোল মেটানোর চেষ্টা করেন। ভাইকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকেও বাঁশ দিয়ে ওই যুবকেরা পেটাতে শুরু করে বলে গোপালবাবুর অভিযোগ। সোমনাথবাবুর বাবা রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা পলাতক।
গোপালবাবু বলেন, “সকলেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। আমার জামা লুকিয়ে রেখে হাসি-ঠাট্টা করছিল। আমি জামা ফেরত চাওয়ায় আমাকে ওরা মারধর করে। দাদা এসে আমাকে বাঁচাতে গেলে ওরা বাঁশ দিয়ে দাদাকে মারতে থাকে।” আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মারা যান সোমনাথবাবু। রিকশা চালক সোমনাথবাবুর বাবা রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “সারাদিন রিকশা চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে ছেলেটা ঘুমিয়ে পড়েছিল। বাড়ির পাশে চিৎকার শুনে ছুটে গেল। ওরা যে এ ভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলবে ছেলেটাকে ভাবতে পারিনি।”
পুলিশ জানিয়েছে, সোমনাথবাবুর মৃতদেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মৃণাল মৈত্র বলেন, “সোমনাথ আমাদের সমর্থক। কংগ্রেসের লোকেরা এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে ওকে পিটিয়ে খুন করেছে।” তবে শান্তিপুরের উপ পুরপ্রধান কংগ্রেসের আব্দুস সালাম কারিয়ার বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। নিতান্ত বচসার জেরেই খুন।” |