টুকরো খবর
সিপিএমের প্রধানকে মারধর তৃণমূলের, অভিযোগ কেশিয়াড়িতে
গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ঢুকে সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধর করার অভিযোগ উঠল শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কেশিয়াড়ির গগনেশ্বরে। পঞ্চায়েতের কর্মচারীরাই প্রধানকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে সেখান থেকে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তৃণমূল ব্লক ও জেলা নেতৃত্ব অবশ্য স্বীকার করেছেন, এমন ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। কে বা কারা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে। খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকার বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” বুধবার দুপুরে আচমকাই কেশিয়াড়ির গগনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে হাজির হন জনা ৪০ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিষ্ণুপদ দে-র অনুগামী বলে পরিচিত এই লোকজন পঞ্চায়েত প্রধান বুধনচন্দ্র নাগকে মারধর শুরু করেন। স্মারকলিপি দেওয়ার নাম করে তাঁরা পঞ্চায়েত কার্যালয়ের ঢুকে ছিলেন। তৃণমূলীদের তাণ্ডবে কর্মচারীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কয়েক জন কর্মীকেও হেনস্থা হতে হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে প্রধানকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সিপিএমের অভিযোগ, পরিকল্পনা-মাফিক এই ঘটনা ঘটনো হয়েছে। দলের কেশিয়াড়ি জোনাল সম্পাদক ভবানী গিরি বলেন, “প্রধান অন্যান্য দিনের মতোই পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। আচমকাই তৃণমূলের একদল কর্মী-সমর্থক কার্যালয়ের মধ্যে ঢুকে মারধর শুরু করে।” তৃণমূলের কেশিয়াড়ি ব্লক সভাপতি জগদীশ দাস বলেন, “এমন ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়।” তাঁর আশ্বাস, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।” দলের অন্য এক ব্লক নেতা বলেন, “বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকেও জানানো হয়েছে।”

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে স্মারকলিপি
ময়নার বলাইপণ্ডা এলাকায় একাধিক অপরাধমূলক ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিলেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের অফিসে গিয়ে ওই স্মারকলিপি দেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসিত পাল, দলের ময়না ব্লক সভাপতি সন্দীপ সামন্ত, তমলুক সদর ব্লক সভাপতি বিকাশ প্রামাণিক প্রমুখ। তাঁদের অভিযোগ, ময়না থানার বলাইপণ্ডা বাজারের এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে লক্ষাধিক টাকার মাছের খাবার লুঠ করেছিল দুষ্কৃতীরা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। একই বাজারের এক মাছের আড়তে দুষ্কৃতীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল মাস তিনেক আগে। সেই ঘটনাতেও অভিযুক্তরা ধরা পড়েনি। গত পয়লা জুন ময়নার মথুরীচক গ্রামের এক বাসিন্দার মৃতদেহ উদ্ধার হয় গ্রামের মাঠ থেকে। ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। জেলা ও ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, ওই সমস্ত ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলার পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু হচ্ছে ঘাটালে
ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) চালু হতে চলেছে ঘাটালে। আগামী ১ জুলাই ঘাটাল আদালতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। উপস্থিত থাকবেন হাইকোর্টের আরও কয়েক জন বিচারপতি, জেলাজজ-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ওই দিনই শতাধিক মামলার মীমাংসা হওয়ারও আশা করছে বিচার-বিভাগ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কী সুবিধা, তা সাধারণ মানুষকে জানাতে প্রধান বিচারপতি ওই দিন প্রত্যন্ত কোনও গ্রামে গিয়ে শিবির করারও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। এ জন্য বিদ্যাসাগরের জন্মভিটে বীরসিংহ গ্রামকে সরকারি ভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ওই দিন বিকেল তিনটেয় প্রধান বিচারপতি আইনি-সচেনতা শিবিরের সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সুযোগ-সুবিধার কথাও জানাবেন। অনুষ্ঠানের জন্য আদালত-চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা থেকে রাস্তা-সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে। ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী বলেন, “আগামী ১ জুলাই ঘাটালে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু হবে বলে সরকারি ভাবে চিঠি এসেছে।” আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “রাজ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উদ্যোগ শুরু হচ্ছে।” বিচার-বিভাগ সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন-স্তরের প্রতিটি আদালতেই পাহাড়-প্রমাণ মামলা জমে রয়েছে। অথচ এমন অনেক মামলা রয়েছে যার সহজেই মীমাংসা করা যায়। এ জন্য এক সময়ে লোক-আদালতও চালু হয়েছিল। তাতে সমস্যা কিছুটা মিটলেও পুরোপুরি মেটেনি। এ দিকে প্রতিদিনই মামলার সংখ্যা বাড়ছে। তাই এ বার ভ্রাম্যমাণ আদালত চালুর ভাবনা। যেখানে গরিব মানুষকে আর টাকা খরচ করে আদালতে আসতে হবে না। আদালতই পৌঁছবে তার দুয়ারে।

আবার শুরু হচ্ছে বিএড কাউন্সেলিং
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত বিএড কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য কাউন্সেলিং আবার এ মাসের ২৫ তারিখ অর্থাৎ সোমবার থেকে শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএড সংক্রান্ত সিলেকশন কমিটির আহ্বায়ক সুনীল মল্লিক জানান, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো নিয়ম অনুসারেই কাউন্সেলিং হবে। সিঙ্গল বেঞ্চ এর আগে হোম-ইউনিভার্সিটি কোটা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকেই মান্যতা দিয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে এত দিন থমকে ছিল কাউন্সেলিং। এ বার ফের তা শুরু হবে। পরিবর্তিত সূচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএড সংক্রান্ত ওয়েবসাইট থেকেই জানা যাবে। বিএড কলেজগুলির ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। গত ১৫ মে মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়। ৭ জুন থেকে শুরু হয় কাউন্সেলিং। প্রথমেই বেসরকারি কলেজগুলি ফি-বৃদ্ধির দাবিতে সোচ্চার হয়। কয়েকটি কলেজ কাউন্সেলিংয়ে অংশগ্রহণ করবে না বলেও জানিয়ে দেয়। পরবর্তীকালে সেই সমস্যা মিটে গিয়েছিল। কিন্তু ঘটে অন্য বিপত্তি। কোটা পদ্ধতির অবসান চেয়ে এক ছাত্র হাইকোর্টে আবেদন জানান। আবেদনকারীর পক্ষেই রায় দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এ দিকে, বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের ৯৫ শতাংশ ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রীর জন্য সংরক্ষণের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করেছিল। ১২ জুন এই সংরক্ষণের বিরুদ্ধে সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দেওয়ায় ওই দিন থেকেই কাউন্সেলিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। বুধবার আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকা অনুযায়ীই কাউন্সেলিং চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। ফলে, ফের সোমবার থেকে কাউন্সেলিং শুরু হচ্ছে।

প্রতিবাদ সভা
রাজ্যের বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিতে নজরদারি চালাতে রাজ্য সরকার যে আইন এনেছে, তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার কাঁথি শহরে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করল কাঁথি মহকুমার বেসরকারি স্কুল সংগঠনকন্টাই সাব ডিভিশনাল নার্সারি স্কুল অ্যাসোসিয়েশন ও ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর আনএইডেড স্কুল অর্গানাইজেশন। সভায় মহকুমার দেড়শোরও বেশি বেসরকারি নার্সারি ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় দু’শো শিক্ষক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জোটবদ্ধ ও আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়। উপস্থিত ছিলেন শামসেদ বেগ, নির্মল কুমার রায়, অনিল মাইতি, অপরেশ বিলাস প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন কেশব দাস।

তিন ছাত্র উদ্ধার
স্কুল থেকে পালিয়ে যাওয়া তিন ছাত্রকে উদ্ধার করল পুলিশ। ইউনিট টেস্টের ফল ভাল না হওয়ার ওই তিন ছাত্রের অভিভাবককে স্কুলে ডেকেছিলেন শিক্ষক। কিন্তু বাড়ি গিয়ে সেই কথা বলার সাহস ছিল না কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ঋত্বিক মাইতি, বিশাল কর, সায়ন্তন অধিকারীর। তাই মঙ্গলবার বিকেলে স্কুল শেষ হয়ে গেলে মেচেদা থেকে খড়্গপুরের দিকে একটি ট্রেনে উঠে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। রাতে খড়্গপুর স্টেশনে তাদের উদ্ভ্রান্ত ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ধরে ফেলে রেলপুলিশ। খোঁজখবর নিয়ে কোলাঘাট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা। বুধবার সকালে ওই তিন ছাত্রকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

স্ত্রীকে খুনে যাবজ্জীবন
স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার ঘাটালের ফাস্ট-ট্রাক কোর্টের বিচারক সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রের খবর, ১৯৯৪ সালে দাসপুরের সেকেন্দ্রারি গ্রামের ইসলাম আলির সঙ্গে পাইকানলক্ষ্মী গ্রামের শাকিলা বিবির বিয়ে হয়। তাঁদের দুটি ছেলেও রয়েছে। ইসলামের একটি জরির কারখানা রয়েছে। ওই কারখানারই এক মহিলা কর্মীর সঙ্গে ইসলামের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। শাকিলা প্রতিবাদ করেন। সংসারে অশান্তি বাড়ে। ২০০৪-এর ১২ অক্টোবর রাতে শাকিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। ইসলাম-সহ মোট ১২ জনের নামে দাসপুর থানায় খুনের মামলা দায়ের করেন মৃতার কাকা শেখ আলমগির। মামলা চলাকালীন এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। বুধবার ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। অন্য অভিযুক্তদের অবশ্য খালাস করে দিয়েছে আদালত।

দালাল-চক্রের ৭ জন গ্রেফতার
ঘাটাল শহরে রেলের বুকিং-কাউন্টার থেকে ৭ দালালকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে ওই কাউন্টারে আচমকা অভিযান চালায় ঘাটাল থানার পুলিশ। ৭ জনকে গ্রেফতার এবং সঙ্গে নগদ ২৭ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়। ধৃতদের বুধবার ঘাটাল আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, ঘাটাল শহরের ওই বুকিং কাউন্টারে দিন-দিন দালালদের উৎপাত বেড়েই চলছিল বলে অভিযোগ। সাধারণ যাত্রীরা টিকিট কাটতে এলে তাঁদের জোর করে কাউন্টার থেকে বের করে দিয়ে দালালচক্রের সদস্যরা ওই টিকিট চড়া দামে বিক্রি করতেন বলে অভিযোগ।

স্মারকলিপি
পাঁশকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় বিকল হওয়া বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বদল করা, কৃষি-বিদ্যুৎ গ্রাহকদের যথাযথ বিদ্যুৎ বিল পরিমাপের জন্য দফতরের ‘হলুদ কার্ড’ দেওয়ার দাবি জানিয়ে স্টেশন ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দিল ‘সারা বাংলা বিদ্যুৎ-গ্রাহক সমিতি’র পাঁশকুড়া থানা কমিটি। মঙ্গলবার সমিতির সমর্থক বিদ্যুৎ-গ্রাহকরা পাঁশকুড়ায় বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের সামনে জমায়েত করেন। বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.