তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, জখম ২০
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
সম্পত্তি নিয়ে দলের এক নেতার পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে বুধবার তৃণমূলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষ বাধে গোঘাটের রঘুবাটি পঞ্চায়েতের রঘুবাটি গ্রামে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের মদিনা, সন্তা-সহ কয়েকটি গ্রামেও। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। লাঠি ও রডের আঘাতে দু’পক্ষের ২০ জন জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রঘুবাটি গ্রামের তৃণমূল নেতা জয়দেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছে ভ্রাতৃবধূ মিঠু চট্টোপাধ্যায়ের। মিঠুদেবী সমস্যার কথা জানিয়েছেন পাশের সন্তা গ্রামের আর এক তৃণমূল নেতা প্রদীপ রায়কে। তৃণমূল সূত্রের খবর, নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে জয়দেববাবুর সঙ্গে প্রদীপবাবুর বিরোধ রয়েছে। মঙ্গলবার জয়দেববাবুরর সঙ্গে তাঁর ভ্রাতৃবধূর বিবাদ বাধে। তার জেরেই বুধবার দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
প্রদীপবাবুর দাবি, “এ দিন গোষ্ঠী-সংঘর্ষ হয়নি। সিপিএমের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে জয়দেববাবু আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চালান। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করেন।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জয়দেববাবু বলেন, “পারিবারিক বিবাদে খবরদারির প্রতিবাদ করেছিলাম। তাই আমাদের মারধর করা হয়েছে।” সিপিএম ওই গোলমালে জড়িত থাকার কথা উড়িয়ে দিয়েছে। |
বকেয়ার দাবিতে শহরে ডানলপ-অফিসে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
বকেয়া মেটানোর দাবিতে হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ কারখানার শতাধিক শ্রমিক বুধবার শহরে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখান। আমির আলি অ্যাভিনিউয়ে সংস্থা কার্যালয়ের সামনে প্রায় ৩ ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত। ডানলপের শ্রমিক সংগঠন এবং আইএনটিটিইউসি নেতা বিদ্যুৎ রাউত বলেন, “আমরা চাই শ্রমিকদের ৩ মাসের বেতন ও কথা মতো বকেয়া ২৫ হাজার টাকা মিটিয়ে কারখানা খুলে আলোচনায় বসুন কর্তৃপক্ষ।” ডানলপের তরফে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ধ্রুবজ্যোতি নন্দী বলেন, “বিক্ষোভের নামে এ দিন সংস্থা কর্ণধারের চরিত্রহনন করা হয়। অথচ, কর্তৃপক্ষ কারখানা খুলতে আগ্রহী ছিলেন। শ্রমিক-নেতারা এত দিনেও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে পারেননি। এখনও সব শ্রমিককে নিয়ে কারখানা খোলার মতো অবাস্তব কথা বলছেন।” গত বছরের অক্টোবরে সাহাগঞ্জ কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। সংস্থা, শ্রমিক প্রতিনিধি ও রাজ্যের তরফে আলোচনা হলেও কারখানা খোলার ব্যাপারে এখনও রফাসূত্র বেরোয়নি। |