মুবারকের ‘মৃত্যু’ নিয়ে গুজব তুঙ্গে |
হোসনি মুবারক কি কোমায়? কৃত্রিম জীবনদায়ী ব্যবস্থায় কি রাখা হয়েছে মিশরের চার দশকের শাসককে? নাকি তিনি সঙ্কটমুক্ত? প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য নিয়ে দিনভর বিভিন্ন সূত্রে উঠে এসেছে এমনই নানা পরস্পরবিরোধী খবর। সরকার কোনও বিবৃতি না দেওয়ায় বিভ্রান্তি বেড়েছে। ঘটনাচক্রে কাল, বৃহস্পতিবারই মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার কথা।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে মুবারকের স্বাস্থ্য খুব দ্রুত ভেঙে পড়েছিল। গণহত্যা মামলার বিচারের সময়ে স্ট্রেচারে করেই আদালতে আনা হচ্ছিল। ২ জুন তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। জেলের মধ্যেও আইসিইউ-এ রাখা হয়েছিল তাঁকে। একটি সূত্র বলছে, মঙ্গলবার রাতে তোঁর মস্তিষ্কে স্ট্রোক হয়। আবার অন্য একটি রিপোর্টের দাবি, প্রথমে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন মুবারক। তার পরে তাঁর স্ট্রোক হয়। তখন কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র-সহ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী মাদি হাসপাতালে। খবর পেয়ে পৌঁছে যান স্ত্রী সুজানাও। মুবারকের আইনজীবীর অভিযোগ, “সুচিকিৎসার অভাবেই ওঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।”
দেশি-বিদেশি একাধিক সংবাদমাধ্যম একটা সময়ে এমন দাবিও করতে থাকে যে, মুবারক ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’। অর্থাৎ তাঁর মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে। মিশরের সরকারি টিভি চ্যানেলে বলা হয়, মুবারক কোমায়। তাঁকে জীবনদায়ী ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। কিন্তু রাতের দিকে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম বলে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল। এত সব চাপান-উতোরের পরেও অবশ্য সরকারের তরফে একটিও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
দীর্ঘ ৪০ বছর যে পদ আঁকড়ে ছিলেন, সেই পদে উত্তরসূরির নাম ঘোষণার দু’দিন আগেই সংজ্ঞা হারালেন মুবারক। এক বিশ্লেষকের কথায়, “নিজেই বলতেন, তিনি অবিনশ্বর। তাঁর পরে আর কেউ নেই। হয়তো নিজের উত্তরসূরির নামই শুনতে চান না হোসনি মুবারক।” |