খড়ের পালুইয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগে সিপিএমের পাঁচ জন কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে মন্তেশ্বরের ফুলগ্রামের ঘটনা।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম ডালিম মণ্ডল, বংশী বাগ, দীনবন্ধু বাগ, গৌতম বাগ ও সুকুমার বাগ। ডালিম মণ্ডলের বাড়ি বহিরগাছি ছোট ধেড়িয়া গ্রামে। সিপিএমের কৃষক সভার নেতা তিনি। বাকি চারজনই ফুলগ্রামের বাসিন্দা। মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “বিষয়টি নিয়ে গ্রামের মানুষের ক্ষোভ বাড়ছিল। দ্রুত খোঁজ খবর নিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” তবে বুধবার ধৃতদের কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হলে এসিজেএম মধুমিতা রায় তাঁদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
অভিযুক্তদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, এই দাবি করে বুধবার মন্তেশ্বর থানায় বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। দলের তরফে একটি সভা করে দাবি করা হয় ঘটনাটি পুলিশ ও তৃণমূলের চক্রান্তেই ঘটেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, বিষয়টিকে ‘সিপিএমের অপপ্রচার’। |
বেশ কিছুদিন ধরেই ফুলগ্রামে জুড়ে একের পর এক খড়ের পালুইয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছিল। ১২ জুন সাত জন চাষির ১২টি পালুইয়ে আগুন লাগে। ১৭ জুন আবারও একটি পালুইয়ে আগুন লাগে। ফলে গ্রামজুড়েই ক্ষোভ বাড়তে থাকে। ক্ষতিগ্রস্তদের একজন পুলিশের কাছে দোষিদের গ্রেফতারের দাবিতে অভিযোগও জানান। অভিযোগে গ্রামেরই কয়েকজনের নামও জানান তিনি। পরে মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে আগুন লাগানোর ঘটনা পরিকল্পিত। এতে গ্রামেরই একাধিক লোক যুক্ত। এরপরেই মঙ্গলবার রাতে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার সকালেই মন্তেশ্বর থানায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান একাধিক সিপিএম কর্মী ও নেতা। মন্তেশ্বর বাজারে প্রতিবাদ সভাও করেন তাঁরা। সিপিএমের মন্তেশ্বর ১ লোকাল কমিটির সম্পাদক মদন রায় জানান, চক্রান্ত করে দলীয় নেতা সমর্থকদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর পুলিশের কাজে মদত দিয়েছে তৃণমূল। ধৃতদের জামিনের পরে সিপিএম নেতা শেখ আব্দুল হামিদ জানান, অভিযোগে নাম না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ রাতের অন্ধকারে আমাদের নেতা ও কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। ঘটনার প্রতিবাদে ব্লক জুড়ে আন্দোলনে নামা হবে।
তবে সিপিএমের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মন্তেশ্বরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অজয় রায় জানান, প্রশাসন তার নিজের কাজ করেছে। একের পর এক খড়ের পালুইয়ে আগুন লাগায় গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। দলের তরফেও প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় দোষিদের গ্রেফতারের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। তবে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। সবটাই সিপিএমের অপপ্রচার। |