সিআইএসএফ চলে যাওয়ার কুড়ি দিন পরে বুধবার এমএএমসি পরিদর্শনে এলেন কনসর্টিয়ামের তিন সংস্থার আধিকারিকেরা। এ দিন তাঁরা মূলত এই ক’দিনে কী কী মালপত্র চুরি গিয়েছে, সোমবার রাতের অগ্নিকাণ্ডে গুদামের কোন সামগ্রী পুড়ে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখেন। আজ, বৃহস্পতিবার কনসর্টিয়ামের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা এমএএমসি নতুন করে খোলার জন্য তিন কেন্দ্রীয় সংস্থা কোল ইন্ডিয়া, ডিভিসি এবং বিইএমএল কনসর্টিয়াম গড়ে। তার মধ্যে প্রথম দুই সংস্থার ২৬ শতাংশ করে এবং তৃতীয় সংস্থার ৪৮ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে। হাইকোর্টের নিলামে সর্বোচ্চ দাম দিয়ে কারখানার দায়িত্ব পায় কনসর্টিয়াম। ২০১০ সালের জুনে তারা লিক্যুইডেটরের হাত থেকে কারখানার দায়িত্ব বুঝে নেয়। তার পরে দু’বছর কেটে গেলেও কারখানা খোলার ব্যাপারে বিশেষ অগ্রগতি হয়নি বলে অভিযোগ শ্রমিক সংগঠনগুলির। |
সেই দাবি মেনে বুধবার কারখানা পরিদর্শনে আসেন বিইএমএলের এজিএম (এইচআরডি) বিশ্বজিৎ রায়, কোল ইন্ডিয়ার সিনিয়র ম্যানেজার আর কে তলাপাত্র, ডিভিসি-র চিফ ইঞ্জিনিয়ার টি কে বন্দ্যোপাধ্যায়। কারখানায় সরেজমিনে সব দেখার পরে তাঁরা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হবে। এ দিন কারখানা চত্বরে হাজির ছিলেন কোল ইন্ডিয়ার প্রাক্তন জিএম অচিন্ত্যকুমার সুরাল। এমএএমসি খোলার ব্যাপারে এক সময়ে তিনি অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। উপস্থিত শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে আইএনটিইউসি নেতা অসীম চট্টোপাধ্যায় জানান, আধিকারিকদের কাছে দ্রুত সিআইএসএফ ফের বহাল করা, চোরেরা কারখানার সীমানা পাঁচিলের যে অংশ ভেঙেছে তা সারানো, ভিতরের জঙ্গল সাফ এবং এখনও পর্যন্ত কত যন্ত্রপাতি চুরি গিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানানো হয়েছে। তবে তাঁর অভিযোগ, “রাজ্য সরকার আগে উদ্যোগী হলে সিআইএসএফ প্রহরা থাকত। তা ছাড়া কারখানা খোলার ব্যাপারে কনসর্টিয়ামের উপরে প্রয়োজনীয় চাপ দিতেও ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।” রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য দিন কয়েক আগে জানান, তিন সংস্থার সঙ্গে রাজ্য সরকারের কথা হয়েছে। সিআইএসএফ ব্যারাক সংস্কারের কাজ এক মাসের মধ্যে শেষ হবে এবং দ্রুত কারখানা খুলবে বলেই তাঁর আশ্বাস। |