লন্ডন, সুইটজারল্যান্ড-এর পর এই বার সিঙ্গাপুর। শীঘ্রই আসিতেছে। কেষ্টপুর খাল সজ্জিত হইয়া সিঙ্গাপুর রিভারের তুল্য হইবে। পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি থমকাইয়া পড়ায় বাঙালির আর বিশ্বভ্রমণের সামর্থ্য নাই। তাই দুনিয়া বাঙালির ঘরে আসিতেছে। শহরের রাজপথে এই গ্রীষ্মে যে পরিমাণ ধুলা উড়িতেছে, তাহাতে অনুমান করা চলে, সাহারা মরুভূমিও আসিয়া পড়িল বলিয়া। গণেশ নাকি মায়ের চার পাশে এক পাক ঘুরিয়াই বলিয়াছিলেন, তাঁহার বিশ্বদর্শন হইয়া গিয়াছে। অধুনা বঙ্গভূমে দিদিই মাতৃতুল্য। বাঙালির রাজনীতি হইতে সমাজ, সকলই তাঁহাকে কেন্দ্র করিয়াই আবর্তিত হইতেছে। কাজেই, বাঙালির বিশ্বদর্শনের হক সম্বন্ধে প্রশ্নের অবকাশই নাই। তবে, অন্য কয়েকটি প্রশ্ন আছে। যেমন, কেষ্টপুর খাল সিঙ্গাপুর রিভার হইবে বটে, কিন্তু সিঙ্গাপুর জায়গাটা ঠিক কোথায়? অশনি সংকেত ছবিতে গ্রামের জমায়েতে সিদ্ধান্ত হইয়াছিল, সিঙ্গাপুর নিশ্চয়ই মেদিনীপুরের কাছেপিঠেই হইবে। ধারণাটি কতখানি বদলাইল? আরও একটি প্রশ্ন: রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছিলেন, আমরা ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া শিশিরবিন্দুটি দেখিতে যাই না। মুখ্যমন্ত্রী ঘরের দুই পা দূরত্বে সিঙ্গাপুর, লন্ডন আনিয়া দিলেও বাঙালি দেখিতে যাইবে কি? |